রাজ্যজুড়ে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম আবির্ভাব দিবস পালন

রাজ্য সরকার যুব সম্প্রদায়ের জন্য অন্তত এমন আটটি প্রকল্প চালু করেছে, যা দেশের বুকে মডেল হিসেবে প্রতিপন্ন হচ্ছে।

Must read

প্রতিবেদন : মহামানব স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে চলেছে বাংলার যুব সমাজ। সেই নীতি মেনে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধনে বাংলার যুব সমাজকে সঠিক দিশা দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব সমাজ আগামিদিনের চালিকাশক্তি। তাই মুখ্যমন্ত্রী বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন যুব উন্নয়নে। যুব সমাজের উন্নয়নে তিনি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা দেশের ইতিহাসে তো বটেই, বিশ্বেও সেরার স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। রাজ্য সরকার যুব সম্প্রদায়ের জন্য অন্তত এমন আটটি প্রকল্প চালু করেছে, যা দেশের বুকে মডেল হিসেবে প্রতিপন্ন হচ্ছে।

আরও পড়ুন-মণিপুরে অসম রাইফেলসের ক্যাম্পে আগুন

ছাত্র ও যুবদের মানোন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে ঐক্যশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, মেধাশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, অ্যাপ্রেন্টিস স্কিম চালু করেছেন। যুব সমাজকে এগিয়ে যাওয়ার দিশা দেখিয়েছেন। কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক চিন্তা ছাড়াই ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে। ঐক্যশ্রী আবার বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। আবার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে স্বল্প সুদে ঋণ মিলছে উচ্চশিক্ষার জন্য। অনেক ছাত্রছাত্রীর শিক্ষার পথ মসৃণ করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপেও পড়ুয়াদের আর্থিক বোঝা কমিয়ে শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করেছে তাদের।
আবার মেধাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সীমাবদ্ধতার বোঝা ছাড়াই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে শিক্ষার্থীরা। সবুজসাথী প্রকল্পে বিনামূল্যে সাইকেল পাচ্ছে, তার ফলে স্কুলে যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে পড়ুয়াদের। যুবশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা পাচ্ছে যুবরা। তার ফলে চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সহায়তা দিচ্ছে তাদের। আর অ্যাপ্রেন্টিস স্কিমে মূল্যবান প্রশিক্ষণের সহায়তা মিলছে। তা শিক্ষানবিশ হিসেবে যুব সমাজকে কর্মে উন্নীত করছে।

আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগর বারবার

কন্যাশ্রী ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের কাছ থেকে বিশ্ব-সম্মান ছিনিয়ে এনেছে। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প উৎকর্ষ বাংলা ও সবুজসাথী বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলার সরকারের একের পর এক প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এটি প্রশাসনিক সাফল্যের নিরিখে সর্বোচ্চ সম্মান। তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম বড় সাফল্য।

Latest article