প্রতিবেদন : যৌন হেনস্থার শিকার শুধুমাত্র মহিলাদের নয়, পুরুষদেরও হতে হয়। তাই এবার থেকে শারীরশিক্ষায় ভাল ছোঁয়া-মন্দ ছোঁয়ার পাশাপাশি পাঠ দেওয়া হবে সাইবার ক্রাইমেরও। কারণ এই অন্তর্জাল থেকেই অপরাধের ভ্রূণ বাড়তে শুরু করে। ইন্টারনেটকে হাতিয়ার করে বিভিন্নরকম অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই থেকেই প্রভাবিত হয়ে সংঘটিত হয় অপরাধ। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ছবি নিয়ে তাতে সুপার ইম্পোজ করে অন্য কারওর মুখ বসিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা তো এখন আকছার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার অষ্টম শ্রেণি থেকেই সাইবার ক্রাইম নিয়ে পাঠ দেওয়ার কথা ভেবেছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্বামীজির আদর্শের পথে দিশা দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, যুবদিবস পালনে নেতৃত্ব
এর মধ্যে রয়েছে, পাসওয়ার্ড সম্পর্কে বিশেষ পরামর্শ। সংখ্যা এবং বর্ণ নিয়ে পাসওয়ার্ড ন্যূনতম ১০টি সংখ্যার হতে হবে। নিজের স্মার্টফোন বা ট্যাব কারও হাতে দেওয়া যাবে না। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য পৃথক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও স্প্যাম মেইল, ফিশিং মেইল থেকে বাঁচার নানা উপায় সম্বন্ধেও বোঝানো হয়েছে। এছাড়াও এই বয়ঃসন্ধিকালে আবেগে ভেসে অনেকেই নিজের গোপন ছবি শেয়ার করে থাকেন প্রেমিক-প্রেমিকাদের। সেক্ষেত্রেও সাবধান করা হয়েছে। কাউকে এই ধরনের ছবি পাঠাতে বা কারওর ফোনে এ-ধরনের ছবি তুলতে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করা হয়েছে পাঠক্রমে। এছাড়াও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মতো উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারা হয়তো না বুঝেই এই ধরনের পোস্ট শেয়ার করছে। কিন্তু তাতে ধর্মীয় উসকানি পাচ্ছে অনেকে, অনেক ক্ষেত্রে সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই ধরনের পোস্ট করার থেকে বিরত থাকার কথাও বোঝানো হচ্ছে পড়ুয়াদের।