জঙ্গলমহলে ফের বাঘাতঙ্কে শুরু নজরদারি, আজই ঘটনাস্থলে সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞরা

নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল জঙ্গলমহলে। জেলার বিনপুর ২ ব্লকের বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় বাঘ দেখে বসানো হল ট্যাপ ক্যামেরা

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়াল জঙ্গলমহলে। জেলার বিনপুর ২ ব্লকের বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় বাঘ দেখে বসানো হল ট্যাপ ক্যামেরা। আজ, সোমবারই সুন্দরবন থেকে বাঘ ধরতে আনা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ দলকে। রবিবার সকালে বাঁশপাহাড়ি অঞ্চলের ছুরিমারা সংলগ্ন মুনিয়াডি জঙ্গলে বাঘ দেখতে পান গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক জঙ্গলে লাল পিঁপড়ে (কুরকুট) সংগ্রহে গিয়ে। তাঁদের প্রায় পাশ দিয়ে চলে যায় বাঘটি। ভয়ে গ্রামে ফিরে বিষয়টি জানাতে এলাকায় ছড়ায় বাঘাতঙ্ক। খবর পেয়ে আসেন বাঁশপাহাড়ি রেঞ্জের বনকর্মীরা। মুনিয়াডি জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ মেলে।

আরও পড়ুন-নজরে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, গঙ্গাপাড়ের ভাঙন, কারণ খুঁজতে সমীক্ষা

বনকর্মীরা তার নমুনা সংগ্রহ করেন। পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড থেকে শনিবার রাতেই সীমান্তবর্তী বেলপাহাড়ির মুনিয়াডি জঙ্গলে ঢুকেছে বলে ধারণা বনাধিকারিকদের। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও ওমর ইমাম জানান, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বনাধিকারিক ও কর্মীরা রয়েছেন। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে ও জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় ট্যাপ ক্যামেরা বসালেও বাঘটির গলায় রেডিও কলার নেই বলে গতিবিধি বোঝা যাচ্ছে না। রাতভর এলাকায় থেকে নজরদারি চালাবেন দফতরের কর্মীরা।’ প্রসঙ্গত, গত ২০ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া বনাঞ্চল থেকে বাঘিনি জিনাত সীমানা পেরিয়ে বেলপাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে। ২২ ডিসেম্বর বাঁশপাহাড়ি হয়ে প্রবেশ করে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড়ে। সেখানকার জঙ্গলে কয়েকদিন থাকার পর বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের গোসাঁইডিহি জঙ্গলে ঢুকলে তাকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে ধরা হয়। এর পর তাকে ওড়িশার সিমলিপাল বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই রবিবার ফের বেলপাহাড়িতে বাঘ ঢোকায় বাঘের নতুন করে আতঙ্কিত মানুষ। কীভাবে নিশ্চিন্তে মকর পরব সারবেন চিন্তায় এলাকার বাসিন্দারা।

Latest article