সংবাদদাতা, কাঁথি : বিজেপি নেতারা ক্রমাগত বাংলা জুড়ে ধর্মে-ধর্মে ভেদাভেদ লাগানোর চেষ্টা করছে। ধর্মের ভিত্তিতে বাংলার মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে রবিবার রামনগরে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তৃণমূলের নেতারা। রবিবার বিকেলে সম্প্রীতি পদযাত্রার আয়োজন করে রামনগর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস। ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, কাঁথির পুরপ্রধান তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তরুণ জানা-সহ অন্যরা। রামনগরের ঠিকরা থেকে রামনগর মোড় পর্যন্ত এই পদযাত্রায়। প্রায় দশ হাজার মানুষ পা মেলান। পদযাত্রা শেষে বিজেপির নেতারা তোপ লাগেন অখিল ও সুপ্রকাশ। অখিল বলেন, ‘আমরা এখানে সবাই মিলে সম্প্রীতি বজায় রাখি। আর এখানেই বিজেপি নেতারা উসকানিমূলক কথা বলছেন। ধর্মে-ধর্মে মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করছেন। দয়া করে এগুলো করবেন না। মানুষ শান্তিতে আছে। আপনাদের এত গাত্রদাহ কেন?’ দিল্লির বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দিল্লিতে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছেন। তাতেও আমরা কৃষকবন্ধু থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দিয়ে যাচ্ছি। তাই গভীর ষড়যন্ত্র করেও পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন আটকাতে পারছেন না।’ বিজেপির ফাঁদে পা না দেওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এরা যা হোক একটা উসকানিমূলক কথা বলে দিয়েই গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা করে। রামনগর শান্ত আছে। তাই বলি, বিজেপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।’
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলে ফের বাঘাতঙ্কে শুরু নজরদারি, আজই ঘটনাস্থলে সুন্দরবনের বিশেষজ্ঞরা
গদ্দার অধিকারীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে সুপ্রকাশ বলেন, ‘আজ নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর সাহস নেই গদ্দারের। ভয় পেয়ে বলছে আমি আর নন্দীগ্রামে দাঁড়াব না। আমি চললাম নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামে পরপর মানুষকে খুন করেছে ওর দল। সিপিএমের হার্মাদরা গেরুয়া পোশাক পরে তৃণমূল কর্মীদের খুন করছে। আমরা তোমাকে চ্যালেঞ্জ করছি, তুমি নন্দীগ্রামে দাঁড়ালে ওখানেই তোমাকে আমরা হারাব।’ সব মিলিয়ে রবিবার রামনগরের মাটিতে বিবেকানন্দের জন্মদিন পালনের পাশাপাশি নিজেদের শক্তিও দেখিয়ে দিল তৃণমূল।