ডাহা ফেল বিজেপি, ব্যর্থ সদস্য সংগ্রহ অভিযানে, মুখ ফিরিয়েছে বাংলা

Must read

ডাহা ফেল বিজেপি (BJP)। বাংলা যে বিজেপি থেকে ক্রমশই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, তা প্রমাণিত বিজেপির সদস্যতা অভিযানের ফলাফলেই। মিসড কল, পুরস্কারের টোপ, পদের লোভ দেখিয়েও সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারল না বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির এই ব্যর্থতায় দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভের বাতাবরণ। একপক্ষ দুষছে অন্য পক্ষকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও ক্ষুব্ধ বঙ্গ বিজেপির এই ব্যর্থতায়। লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক সদস্যও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। সদস্যতা অভিযানের সময়সীমা শেষ। ৫০ লক্ষ প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ হয়নি। প্রাথমিক সদস্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক কোটি। আর সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লক্ষ। হয়েছে মাত্র ৪৫ হাজার। যেখানে রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৭৯ হাজার, সেখানে বিজেপির সক্রিয় সদস্য তার অর্ধেক। অর্থাৎ একটি বুথে একজন করেও সক্রিয় সদস্য নেই বিজেপির। এই অবস্থায় বাংলার কোনও নির্বাচন জেতাই বিজেপির কাছে দুরূহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- কাঁথিতে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মহামিছিলে হাঁটল দশ হাজার মানুষ, গদ্দারকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের, নন্দীগ্রামেই হারাব

সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষে ভেরিফায়েড সদস্য নিয়ে বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা বলতে শুরু করেছেন, ২০১৮ সালে মিসড কল দিয়ে অনেক বেশি প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ হয়েছিল। সেই সংখ্যা ছিল ৮২ লক্ষের বেশি। এবার তার অর্ধেক হয়নি। সেবার বিজেপি নতুন সদস্যদের মধ্যে ভেরিফায়েড সদস্য ছিল ৬৮ লক্ষ। এবার সদস্য সংগ্রহের হাল খারাপ। ভেরিফাইড সদস্যের হালও খারাপ। অন্যদিকে, বঙ্গ বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বলছে, আগেরবার মাত্র ১৩ লক্ষ সদস্য ভেরিফায়েড ছিল। এবার সেই সংখ্যা ৪০ লক্ষের বেশি। অর্থাৎ দু’পক্ষের দেওয়া পরিসংখ্যানেই যে জল মেশানো আছে, তা দুই শিবিরের তরজাতেই সুস্পষ্ট। পুরনো বা আদি বিজেপিদের এই অভিযানে না নামানোই বুমেরাং হয়েছে। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাতেও পৌঁছানো যায়নি, আবার তা নিয়ে উভয় পক্ষের বাদানুবাদও চলছে। স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে দলের অন্দরের কোন্দল। মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিজেপি থেকে।

Latest article