প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তিনি। তাও চূড়ান্ত ব্যস্ততার বাইরে বেরিয়ে নিয়মিত ছবি আঁকেন, লেখেন কবিতা ও গান। সুরও দেন নিজের লেখা গানে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata banerjee) লেখা ও সুর করা সেই গানের মধ্যে দিয়েই শুরু হল কসবা-রাজডাঙার পিঠে-পুলি উৎসব। বাংলা সঙ্গীতজগতের নক্ষত্রদের গলায় ঝঙ্কার-তোলা মুখ্যমন্ত্রীর গানে-গানেই রাজডাঙা মাঠের অগণিত শ্রোতারা রবিবাসরীয় হিমেলসন্ধ্যা কাটালেন। তাঁর গান নিয়ে এই ধরনের শো হবে রাজ্যের অন্যত্রও। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ও সুর করা ১৪টি গান পরিবেশন করেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন, মনোময় ভট্টাচার্য, তৃষা পাড়ুই, অরিত্র দাশগুপ্ত, চন্দ্রিকা ভট্টাচার্য, ঐতিহ্য রায়ের মতো সঙ্গীতশিল্পীরা। সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত ধরে সূচনা হয় কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারপার্সন সুশান্ত ঘোষের উদ্যোগে আয়োজিত পিঠে-পুলি উৎসবের। শুরুতেই সুশান্ত ঘোষ বলেন, এবার থেকে প্রতিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান জানাতে অনুষ্ঠান করা হবে।
আরও পড়ুন- এবার থেকে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেই ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’-এ আবেদনের সুযোগ
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সঙ্গীতশিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুর করা ‘আমার আড়ালে, আমার আবডালে’ গানের পরই অসংখ্য শ্রোতাদের হাততালিতে ফেটে পড়ে রাজডাঙার মাঠ। এরপর একের পর এক শিল্পীর গলায় মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata banerjee) ‘আমার আমি হারিয়ে যাক’, ‘এই স্বপ্নে দেখো ফুলের তালে’, ‘আকাশ যেখানে নীলিমায়’, ‘এই পৃথিবী একটাই’, ‘মাগো তুমি সর্বজনীন’-এর মতো গান দিয়ে গানে-গানে সন্ধ্যা জমে ওঠে। নবাগত সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন শিল্পী তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর গান নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান এই প্রথম। প্রতিটি গানই শ্রোতাদের সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অনুষ্ঠান আমরা আরও বড় করে করব। এদিন এলাকার বেশ কয়েকজন উদীয়মান টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।