নন্দীগ্রামের নন্দীনাথ এখন নন্দী-ভৃঙ্গীর সঙ্গী

অল্প বয়সেই সংসারের মায়া ত্যাগ করে এখন ভবঘুরে। ঠিক যেন বাস্তবের তারানাথ তান্ত্রিক! একদা নন্দীগ্রামের বাসিন্দা হলেও এখন গঙ্গাসাগরই ঘরবাড়ি

Must read

দেবনীল সাহা, গঙ্গাসাগর: অল্প বয়সেই সংসারের মায়া ত্যাগ করে এখন ভবঘুরে। ঠিক যেন বাস্তবের তারানাথ তান্ত্রিক! একদা নন্দীগ্রামের বাসিন্দা হলেও এখন গঙ্গাসাগরই ঘরবাড়ি। নন্দী-ভৃঙ্গীর মতো তিনিও শিবভক্ত। নন্দীনাথ নামেও মিলেছে প্রভুযোগ। সাগরমেলায় ঘুরতে ঘুরতে নাম লেখালেন সরকারের রেকর্ড বুকে। অকপটে সরকারি ব্যবস্থাপনার অঢেল সুখ্যাতিও করলেন।

আরও পড়ুন-বীরভূমে সবুজসাথী সাইকেল দেওয়া শুরু, পেল ৭১ পড়ুয়া

মাঝবয়সী সন্ন্যাসী বললেন, বহু বছর ধরে কপিলমুনির মন্দিরেই কাছেই থাকি। মাঝেমধ্যে অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রে যাই। আবার ফিরে আসি এই গঙ্গাসাগরেই। ঘরবাড়ি ছিল এককালে নন্দীগ্রামে। ছেড়ে এসেছি বহুকাল আগে। এখন পথই সবকিছু।
উত্তর ভারত ঘুরে পুণ্যস্নানের আগেই সাগরে ফিরেছেন নন্দীগ্রামের নন্দীনাথ। এসেই ছুটলেন সরকারি রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে। রাজ্য সরকারের তরফে ২০২৪ সাল থেকেই সাগরমেলার প্রাঙ্গণে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিবছর সাগরে পুণ্যস্নানের জন্য ভিনরাজ্য থেকে কত মানুষ আসেন, তার রেকর্ড রাখার জন্যই এই বন্দোবস্ত। মেলাপ্রাঙ্গণে প্রশাসনের যেকোনও শিবিরে গিয়ে নাম বললেই কেল্লাফতে। গঙ্গাসাগর তীর্থে যে আপনার পদধূলি পড়েছে, তা চিরকালের জন্য লেখা থাকবে সরকারের রেকর্ড বুকে। প্রশাসনের তরফে দেওয়া হবে একখানা সার্টিফিকেটও, যা চাইলে বাঁধিয়ে রাখতে পারেন দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা।

Latest article