মুখ্যমন্ত্রীর নজরদারিতে মন্ত্রীদের তত্ত্বাবধানে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ মানুষের মকরস্নান

রেকর্ড! একটিও দুর্ঘটনা নেই, সাফল্যের সঙ্গেই মেলার ব্যবস্থাপনা রাজ্যের

Must read

নকিব উদ্দিন গাজি, গঙ্গাসাগর: নির্বিঘ্নেই চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। রাজ্য সরকারের আয়োজনে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন গঙ্গাসাগরে (Gangasagar)। নিজে গোটা ব্যবস্থাপনার উপর কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথাও এতটুকু বেচাল দেখলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের কাছে অথবা মন্ত্রীদের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দিষ্ট করে দেওয়া এক ডজন মন্ত্রী মেলা এবং তার আশপাশ এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছেন গত কয়েকদিন হল। প্রতিমুহূর্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ আপডেট পৌঁছে যাচ্ছে নবান্নে। জেলা প্রশাসন তো বটেই রাজ্যস্তরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এই গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন ওতপ্রোতভাবে। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ৮৫ লক্ষ মানুষ পুণ্যস্নান সেরে ফেলেছেন। আজ মঙ্গলবার এবং আগামী কাল বুধবার এই সংখ্যাটা বাড়বে আরও কয়েকগুণ। জলপথ-স্থলপথ এবং আকাশেও কড়া নজরদারি রেখেছে প্রশাসন। মেডিক্যাল ক্যাম্প, আশপাশের সব ক’টি হাসপাতাল, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, পর্যাপ্ত ডাক্তার, ওষুধ— সবই রয়েছে গঙ্গাসাগরে। বিশেষ করে লট-৮ থেকে মুড়িগঙ্গা পেরিয়ে সাগরে পৌঁছতে একশোটির উপর ভেসেল এ ছাড়াও ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস রয়েছে। ২৫০ বেসরকারি বাস রাখা হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই যাতে বিন্দুমাত্র ত্রুটি না হয়। সদা সতর্ক রয়েছেন ভলেন্টিয়াররা। পুলিশের একাধিক ডিপার্টমেন্ট সমন্বয় রেখে কাজ করছে। এরই মধ্যে অসুস্থ এক ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে আনা হয়েছে কলকাতায়। মঙ্গলবার ভোর থেকেই চলছে টানা মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। মন্ত্রী সুজিত বস ঐ দিন সাতসকালে পুজো দেন কপিলমুনির মন্দিরে। মেলায় নির্দিষ্ট দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী রথীন ঘোষও ডুব দিয়েছেন সাগরে। এছাড়াও রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, মানস ভুঁইয়া, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুলক রায়, বঙ্কিম হাজরা, বিধায়ক মদন মিত্র ও একাধিক মন্ত্রী। সন্ধেবেলায় চলছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গঙ্গা আরতি। জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক আধিকারিকরা কড়া নজরে রেখেছেন গঙ্গাসাগর মেলাকে। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনিদ্র রজনী পাহারা দিচ্ছেন। কখনও মুখ্য সচিবের কাছে কখনও ডিজির কাছে বা কখনও অন্যান্য আধিকারিকের কাছে থেকে আসছে গঙ্গাসাগরের ফিডব্যাক। গত কয়েক বছরে গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) ভোল পাল্টে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই দেশের একমাত্র কঠিনতম তীর্থস্থানে জলপথ পেরিয়ে আসতে হলেও এখন একটা কথা স্পষ্ট বলাই যায়— সব তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বারবার।

আরও পড়ুন: তথ্য কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য

Latest article