কুৎসার জবাব দিল তৃণমূল

সিপিএম, বিজেপি-সহ বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে স্যালাইন নিয়ে। যার কোনও ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি।

Must read

প্রতিবেদন : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় লাগাতার কুৎসার জবাবে বিরোধীদের ধুয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম, বিজেপি-সহ বিরোধীরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। অভিযোগ তোলা হচ্ছে স্যালাইন নিয়ে। যার কোনও ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি। শুধু ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে কিছু ফুটেজ খাওয়া। মিডিয়ায় ভেসে থাকার এক নোংরা প্রয়াস। এখন ঘটনাক্রম পর্যবেক্ষণ করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসছে। ফলে গাফিলতির থেকেও অন্তর্ঘাতের বিষয়টি আরও জোরালো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি তদন্ত করছে সিআইডি। মঙ্গলবার তদন্তকারীদের একটি দল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায়। খতিয়ে দেখেন সবকিছু।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এ-বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি, কাঁচা হাতে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার সময় থেকেই সমস্যা শুরু। পরে সামলাতে গিয়ে জটিলতা আরও বাড়ে। বেগতিক দেখে এরপর সিনিয়রকে খবর পাঠানো হয়। ততক্ষণে পরিস্থিতি জটিল আকার নেয়। এর দায় তাঁরা কোনওভাবেই এড়াতে পারেন না। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে ধরে ধরে সবার ওপর নজর রাখা সম্ভব নয়। ঘটনা সামনে আসতেই ধামাচাপা দেওয়ার তাড়াহুড়োয় একই সময়ে একই ডাক্তার পাশাপাশি দুই টেবিলে দুটো ওটি দেখিয়ে ফেলেছেন রেকর্ডে। যা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এমনকী রোগী যখন অসুস্থ হন, এঁরা তাঁর বেড টিকিটেও বিস্তারিত রেকর্ড করেননি। গোটা কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে স্যালাইন ও অন্যান্য দিকে নজর ঘুরিয়ে সরকারবিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছে। কুণালের সংযোজন, স্যালাইনে কোনও ত্রুটি থাকলে তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, তা প্রমাণিত হবে। কিন্তু তা দিয়ে যেন আসল ঘটনা আড়াল না করা হয়। একসময় যাঁরা এক অভয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন, তাঁদের হাতেই আজ আর এক অভয়ার মৃত্যু ঘটল। এরও বিচার চাই। যাঁরা এর জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় নয়, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থারও দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন-বাঘাযতীনে হেলে পড়ল বহুতল, ভাঙল একাংশ

তৃণমূলের প্রশ্ন, হাসপাতালের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আচমকা এত তৎপরতা কেন বিরোধীদের? তবে এটা কি পূর্ব পরিকল্পিত, যাতে রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করা যায়? আরজি কর ইস্যুতে চূড়ান্ত নোংরামি ও রাজনীতি করেও কোনও লাভ হয়নি। বাংলার মানুষ তৃণমূলকেই বিপুল ভোটে জিতিয়েছে। এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই হাতে। মানুষও সঙ্গে নেই। তাই কি যেনতেন প্রকারে তৃণমূলকে, সরকারকে কালিমালিপ্ত করার নোংরা প্রয়াস?

Latest article