প্রতিবেদন: লিভ-ইন সম্পর্ককেও আইনের বেড়াজালে বাঁধার উদ্যোগ বিজেপির (BJP)। নানা মহলে উঠেছে প্রশ্ন, দেখা দিয়েছে সংশয়ও। কিন্তু মৌলিক অধিকার বা ব্যক্তিগত জীবনের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উপেক্ষা করেই উত্তরাখণ্ডের গেরুয়া সরকারের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে লিভ-ইন সম্পর্কেও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। কিন্তু এটা তো পরের কথা, তার আগে একত্রবাস করার জন্য জানাতে হবে পুলিশকে। তারপরে নাম নথিভুক্ত করার পালা। সম্পর্কের শংসাপত্র বা ঘোষণাপত্র রাখতে হবে সঙ্গে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, লিভ-ইন রেজিস্ট্রেশনেও সাক্ষীর উপস্থিতি জরুরি। ঠিক বিয়ের মতোই। ভবিষ্যতের প্রমাণ হিসাবে করতে হবে ভিডিও রেকর্ডিংও। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য চাই ছবি এবং আধারের তথ্য। জানাতে হবে একত্রবাসের সঙ্গীদের নাম, বয়স, ঠিকানা, ফোন নম্বর, নাগরিকত্ব, ধর্ম, এমনকী আগে কোনও সম্পর্ক ছিল কি না তাও। সবই নথিভুক্ত করতে হবে সুনির্দিষ্ট পোর্টালে। লক্ষণীয়, লিভ-ইন সম্পর্কের পরিণতিতে সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তান পাবে আইনি স্বীকৃতি।
আরও পড়ুন-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন, চালকের তৎপরতায় রক্ষা ৫০০ যাত্রীর
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ উত্তরাখণ্ডের ডবল ইঞ্জিন সরকারের? আসলে সামনের সাধারণতন্ত্র দিবস থেকেই এই পাহাড়ি রাজ্যে বিজেপি চালু করতে চাইছে অভিন্ন দেওয়ানি আইন। তীব্র বিরোধিতা এবং সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও রাজ্যে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই বিতর্কিত বিধি। লিভ-ইন সম্পর্ককে আইনের গেরোয় বেঁধে ফেলার চেষ্টা তারই অঙ্গ।