প্রতিবেদন : সংঘপ্রধানের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। সমালোচনার ঝড় তুলেছে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। সরব তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। এর আগেও বহুবার তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় উঠেছে৷ তারপরেও নিজেকে শুধরানোর কোনও চেষ্টাই করেননি সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত৷ এবার ঔদ্ধত্যের সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন তিনি, এমনই মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ৷ তাঁদের ক্ষোভের মাত্রা বাড়িয়েছে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সাম্প্রতিকতম মন্তব্য, যেখানে উনি দাবি করেছেন, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট নয়, দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন৷ এই দিনটিকে ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে পালন করার দাবিও জানান সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত৷ ইন্দোরের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে সংঘপ্রধানের দাবি, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত যে স্বাধীনতা পেয়েছে, তা রাজনৈতিক স্বাধীনতা৷ নিজেদের ভাগ্য নিজেরা গঠন করার অধিকার পেয়েছিল ভারত৷ এর পরে আমরা সংবিধান তৈরি করি৷ তারপরেও স্বপ্ন সত্যি হয়েছে তা বলা যায় না৷ দেশের সমকালীন চেতনা দ্বারা সংবিধান পরিচালিত হয়নি৷ মোহন ভাগবতের এই মন্তব্যের নেপথ্যে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন উদ্ধবপন্থী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর মন্তব্য, রামলালাকে নিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন।
আরও পড়ুন-নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার, যোগীকেই দায়ী করলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
সংঘপ্রধানের এই মন্তব্যকে নিশানা করে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী শিবির৷ কোনওভাবেই মোহন ভাগবতের অবস্থান সমর্থনযোগ্য নয়, সাফ জানিয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ, অধ্যাপক সৌগত রায়৷ তাঁর দাবি, বিজেপি, আরএসএস-এর মতো হিন্দুত্ববাদীরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেনি৷ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন কোটি কোটি দেশপ্রেমী মানুষ এবং সেই সময়ে কংগ্রেসের নেতা-সমর্থক, কর্মীরা৷ বিজেপির নেতা সাভারকর স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়ার সময়ে ইংরেজদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন৷ যারা দেশবিরোধী, তারা মোহন ভাগবতের মতো কথাই বলবেন৷ আমরা কোনওভাবেই ওঁর সঙ্গে একমত নই৷ আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট, সেটাই শেষকথা।