প্রতিবেদন : শুক্রবার, স্কুল ফি মামলায় পুরনো রায় মনে করিয়ে দিল হাইকোর্ট। জানাল যে, ফি না দিলেও পড়ুয়াদের লেখাপড়া-পরীক্ষায় বাধা দিতে পারবে না বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড আটকে রাখতে পারবে না স্কুল।
অভিভাবকদের পুরো ফি মিটিয়ে দিতে হবে বলে আগে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল ফি না দিলেও পড়ুয়াদের ক্লাস করতে বাধা দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন : Ratan Malakar: অভিমান নেই, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে রতন মালাকার
কিন্তু তা সত্ত্বেও কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বেতন না দেওয়ায় পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও অ্যাডমিট কার্ড না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ১০০ শতাংশ বেতন মেটানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিভাবক।
এদিকে, বেতন না মেটানোয় কয়েকজন পড়ুয়াকে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। শুক্রবার, সেই মামলার শুনানিতে স্কুলের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টে (High Court) জানান, এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর (Fir) দায়ের হয়েছে। পুলিশ অধ্যক্ষকে বার বার ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই বেসরকারি স্কুল (School) নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে নিষেধ করেছে আদালত। মামলাকারীর তরফের আইনজীবী বলেন, গত অক্টোবরে ১০০ শতাংশ বেতন মেটানোর যে নির্দেশ এই আদালত দিয়েছিল, সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছে। সোমবার সেই মামলার শুনানি। তাই এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হোক। ১৭ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে, বেতন না মেটানোয় কোনও পড়ুয়ার লেখাপড়ায় বাধা দেওয়া যাবে না বলে এ দিন ফের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।