বাংলায় এবার প্রথমবার হাসপাতালের ছাদে প্রতিদিন নামবে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স (Air Ambulance)। চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। সেটা করার জন্য প্রাথমিক অনুমতি দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালে থাকছে এই পরিষেবা। তবে পরবর্তীকালে সরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এই পদ্ধতি অবলম্বন করতেই পারে। শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে রুবির একটি হাসপাতালের ছাদে ওই হেলিকপ্টার নামতে চলেছে। সেই ছাদে ইতিমধ্যেই হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই ছাদে উপস্থিত থাকতে চলেছে ডিজিসিএ’র প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন-দলের নেত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি
ডিজিসিএ সূত্রের খবর, কলকাতা শহরে বাড়ির ছাদে প্রতিদিন হেলিকপ্টার ওঠা–নামা করলে কী ধরনের সমস্যা সামনে আসতে পারে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই ধরণের পরিষেবা দিতে গেলে বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে চলতে হয়। হেলিকপ্টারকে দুই–ইঞ্জিনের হতে হবে এবং হেলিকপ্টারে দু’জন পাইলট থাকতে হবে। এছাড়া ঘিঞ্জি এলাকায় অন্যান্য নির্মাণ ক্ষতি না করে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ওঠা–নামা করতে হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এলিভেটেড হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার ওঠা–নামা করার ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ভাল থাকতে হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতালের দাবি, তাদের ফায়ার ফাইটিং টিম হায়দরাবাদ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এছাড়া ইতিমধ্যেই সঠিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। আজ, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে পরিষেবা দিয়ে ১৭ই জানুয়ারি বেহালা থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স বেসরকারি হাসপাতালের ছাদে গিয়ে নামবে। এই হেলিকপ্টার ভুবনেশ্বর থেকে এসেছে। অত্যন্ত কম সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে ব্যবহার হতে চলেছে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
আরও পড়ুন-”আমাদের গুলি করলে, আমরা চারগুণ গুলি চালাব” সাফ জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার
ছাদে হেলিপ্যাড গড়ে তোলার এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে চার বছর ধরে কাজ চলেছে। নানা দেশ বা রাজ্য থেকে রোগীরা কলকাতায় নিয়মিত যাতায়াত করেন। কোনও ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাজ করবে। সরাসরি হাসপাতালে এসে নামতে পারলে অনেকাংশেই দ্রুত চিকিৎসা সহজ হবে।