প্রতিবেদন : ডার্বি জয়ের পর শুক্রবার ইস্পাত নগরীতে দুরন্ত ছন্দে থাকা জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা সবুজ-মেরুনের সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র ৮ পয়েন্টের ব্যবধান। খালিদ জামিলের দলের জয়রথ থামিয়ে এই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিতে চায় জোসে মোলিনার দল। তবে কাজটা যে কঠিন, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন মোহনবাগান কোচ, ফুটবলাররা। লিগে এই মুহূর্তে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জামশেদপুর। তাই অত্যন্ত সতর্ক সবুজ-মেরুন শিবির। তার উপর সাহাল, জর্ডন মারেরা শেষ তিন ম্যাচে মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কেরলের মতো দলকে হারিয়েছে। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িনের কাছে পাঁচ গোল খাওয়া বাদ দিলে নিজেদের ডেরায় কার্যত অপ্রতিরোধ্য খালিদের দল। তার উপর কলকাতায় মোহনবাগানের কাছে তিন গোলে হেরেছে জামশেদপুর। ঘরের মাঠে জেসন কামিন্সদের জবাব দিতে চাইবেন স্টিফেন এজেরা। তবে মোহনবাগান কোচ কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলতে চান। ফিট গ্রেগ স্টুয়ার্টকে প্রথম একাদশে রেখে শুরু থেকে আগ্রাসী ফুটবলের রণকৌশল নিতে পারেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ।
আরও পড়ুন- আনোয়ারকে ছাড়াই গোয়া যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল
মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ বললেন, ‘‘গ্রেগ ও দিমিত্রি ডার্বিতেও পরিবর্ত হিসেবে খেলেছে। ওরা ক্রমশ ফিট হচ্ছে। শুরুতে ওদের দরকার। দেখা যাক কী হয়।’’ অনিরুদ্ধ থাপাকে আরও কয়েকটি ম্যাচে পাওয়া যাবে না। সাহাল আব্দুল সামাদের হালকা চোট রয়েছে। বাসে করে জামশেদপুর রওনা হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার সকালে যুবভারতীতে অনুশীলন করে মোহনবাগান। সেখানে সাহাল কিছুক্ষণ অনুশীলন করেই উঠে যান। তবে ভারতীয় মিডফিল্ডার দলের সঙ্গেই জামশেদপুর গিয়েছেন। হাতে চোট থাকলেও আপুইয়া খেলার জন্য তৈরি বলেই জানা গিয়েছে।
লিগে সবচেয়ে বেশি ২৩টি গোল হজম করলেও জামশেদপুরের আক্রমণাত্মক ফুটবলকে সমীহ করছেন মোলিনা। বললেন, ‘‘ওদের হারাতে গেলে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। চেষ্টা করব সেরা প্রথম একাদশ খেলাতে। খুব কঠিন ম্যাচ হবে। তবে আমাদের খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসী।’’