মেদিনীপুর মেডিক্যালে শুরু তদন্ত

অনেক হম্বিতম্বি করেও পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করল বিপ্লবী ডাক্তাররা।

Must read

প্রতিবেদন : অনেক হম্বিতম্বি করেও পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করল বিপ্লবী ডাক্তাররা। নিজেদের চরম গাফিলতি ও উপরচালাকি ধরা পড়ে যাওয়ায় এরা এখন দিশাহারা। তার ওপর ওই ১২ জন সিনিয়র ও জুনিয়রদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিআইডি পুরোদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। সেখানে পার পাওয়ার জো নেই। কোতোয়ালি থানায় এদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আর গোলমাল পাকানোর ঝুঁকি নেয়নি কেউ। সব থেকে বড় বিষয়, প্রসূতিমৃত্যুতে সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ন্যক্কারজনক এপিসোড সকলের সামনে এসে পড়েছে তাই এখন মুখ দেখানোর জো নেই এদের। পিঠ বাঁচাতে এখন নয়াপন্থা খুঁজছে এরা।

আরও পড়ুন-ধর্ষকের মুক্তি নেই: গুড়াপে সাজা ঘোষণায় পুলিশ-বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর

এই আবহেই শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপারের দায়িত্বে এলেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন। এদিন বিকেলে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সবে আমি মেডিক্যাল কলেজে এসেছি, পুরো বিষয়টা আমি দেখার পরেই আপনাদের সামনে জানাতে পারব। আমাকে একটু সময় দিন সবে দায়িত্ব নিয়েছি, সরকার আমাকে যে যে বিষয়গুলি দেখার জন্য পাঠিয়েছি সেগুলি দেখে, বুঝে নিয়ে তারপর সব বলতে পারব। স্বাস্থ্য ভবন থেকে যে সমস্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা আমি যথাযথ পালন করার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন-নিরাপদ নন তারকারাই, সইফের হামলাকারী অধরাই

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। তদন্তে উঠে এসেছে, সিনিয়র ডাক্তাররা ডিউটির সময় অনুপস্থিত ছিলেন। জুনিয়র ডাক্তাররা ‘কাঁচা হাতে’ অপারেশন করেন। তার জেরে এক প্রসূতি ও এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। ভুগতে হয়েছে আরও অনেক মা ও শিশুকে। এই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সত্য সমানে আসতেই ফের কর্মবিরতির নাটক শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হাসপাতালের স্ত্রী-রোগ এবং অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের ২২ জন জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। কর্মবিরতি করে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, এটা কি চিকিৎসক-সুলভ আচরণ? এরপরই বেগতিক বুঝে কর্মবিরতির রাস্তা থেকে সরে আসেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন সেখানে যাচ্ছেন ‘জুনিয়ার ডক্টরস ফ্রন্টের’ প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা।

Latest article