প্রতিবেদন : হারের হ্যাটট্রিক আটকে চেন্নাইয়িন এফসি-র সঙ্গে ম্যাচ ড্র করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফল গোলশূন্য। জিততে না পারলেও দু-বারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে লড়াকু ফুটবল খেলে আগের দুই ম্যাচের বিপর্যয়ের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ লাগালেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ওড়িশা ম্যাচের ভুল শুধরে ড্র ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতা গোলরক্ষক শুভম সেন। কোনও গোল না খেয়ে তিন ম্যাচ পর ক্লিন শিট রাখল ম্যানুয়েল দিয়াজের দল। শুরু থেকে দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শানায় চেন্নাইয়িন। রহিম আলি ও লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গতি, মুভমেন্ট সামলাতে হিমশিম খায় লাল-হলুদ রক্ষণ। ব্যাকলাইনে মার্সেলা-গোমস স্টপার জুটিকে নড়বড়ে লেগেছে। উইং দিয়ে চেন্নাইয়িনের কিরঘিজ উইঙ্গার মুরজায়েভও বারবার সমস্যায় ফেলেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে। চেন্নাই মাঝমাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অনিরুদ্ধ থাপা। প্রথমার্ধেই তিনটি সহজ গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল দু’বারের চ্যাম্পিয়নরা। তিনবারই নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক শুভম সেন।
আরও পড়ুন : বৈশ্বানর থেকে অনন্যা , তৃণমূল কংগ্রেসের দুরন্ত প্রচার
এদিন বারের নিচে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী লেগেছে গোলরক্ষক শুভম সেনকে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার নেপথ্যে শুভমেরই কৃতিত্ব। বিরতির পর রক্ষণ জমাট রাখতে দলে জোড়া বদল আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। জয়নার ও গোমসকে তুলে দিয়াজ মাঠে নামান আদিল খান ও রাজু গায়কোয়াড়কে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ যত গড়াল, বল দখলে রেখে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে উজ্জীবিত ফুটবলের চেষ্টা করেছে লাল-হলুদ। রক্ষণে মার্সেলাকে এদিন আগের ম্যাচগুলির থেকে সাবলীল লেগেছে। গোটা মাঠ জুড়ে লড়াকু ফুটবল খেলেছেন রফিকও। বাকিরাও সাধ্যমতো লড়েছে। তবে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখে চেন্নাইয়িন। প্রথমার্ধে ভাল গোলকিপিং করার পর দ্বিতীয়ার্ধে কিছু ভুল করেন শুভম। থাপা, ছাংতেরা ক্রমাগত চাপ রেখে গিয়েছেন লাল-হলুদ রক্ষণে। এরমধ্যেই প্রতি-আক্রমণে গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন চিমা। কিন্তু ব্যর্থ হন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। এদিকে, আগের ম্যাচের গোলদাতা হাওকিপকে নামিয়ে কেন আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ানোর চেষ্টা করলেন না দিয়াজ, তা দুর্বোধ্য।