প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় রাই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। শিয়ালদহের বিশেষ সিবিআই আদালত তিন ধারায় ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করার পরও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন নিন্দুকরা। বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ, বাম-অতি বাম ও গেরুয়া শিবিরের হাতে গোনা কিছু নেতা চেঁচামেচি করছেম এখনও। কিন্তু যাঁরা এখন নানা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা এতদিন কোথায় ছিলেন। সকলেই তো সুপ্রিম কোর্টে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফিরে এসেছেন। আরজি কর-কাণ্ডে গোটা তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের মনিটরিংয়ে চলেছে। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে তাঁদের বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। ফলে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের তদন্তে হস্তক্ষেপ করেনি।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দ্রুত চার্জশিট দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। লজ্জার কথা এই যে, যখন প্রতিদিন নিয়ম করে শিয়ালদহের বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানি চলেছে, তখনও নিন্দুকরা মায়াকান্না কেঁদেছে আর বলেছে, আজও বিচার পেল না অভয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর পোস্ট করে গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে অভয়ার বাবা-মা থেকে শুরু করে আরজি করের তথাকথিত আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা সকলেই দেশের নামকরা আইনজীবীদের দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন। এরপর শুনানিতে প্রতিদিন প্রত্যেক শিবিরের আইনজীবী হাজির থাকতেন, লাইভ স্ট্রিমিংও হত। আজও যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টকেও কি মানবেন না? এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, সুপ্রিম কোর্টে প্রত্যাখ্যাত হয়ে একাংশ মিথ্যা অভিযোগ ও নানা প্রশ্ন তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই ‘আরও প্রশ্ন আছে’ বলে জিগির তুলছেন। কেন তাঁরা সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের কাছে যাননি? প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনাদের একেকজনের ‘উইশ লিস্ট’ এক-একরকম মনে হবে, আর সেটাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন, তা হয় নাকি?