গুজরাতের (Gujrat) সুরাতে ভয়াবহ ঘটনা। মাতৃত্বের নিকৃষ্ট নমুনা প্রকাশ্যে। আবর্জনার স্তূপের উপর শকুনের আনাগোনা দেখে এলাকায় জমে যায় ভিড়। এরপরেই নজরে আসে নর্দমার ঠিক পাশে পড়ে রয়েছে সদ্যোজাতের অপরিণত, অসাড় মৃতদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-হিমাচলে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্যারাগ্লিইডিং দুর্ঘটনায় মৃত দুই পর্যটক
শিশুটির মায়ের খোঁজ শুরু হলে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের পর সুরাতের অশোকনগর এলাকায় এক নাবালিকার বাড়ি নির্দিষ্ট করে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমের সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল সে। তার নাবালক প্রেমিকও পলাতক। এর পরেই গর্ভপাত করে নেয় বছর ষোলোর ওই কিশোরী। সেখানেই শেষ নয়, ভ্রূণটি ফেলে দিয়ে আসে আবর্জনার স্তূপে।
আরও পড়ুন-তিন কবি তিন বই
গুজরাত পুলিশের ডিসিপি এই মর্মে জানিয়েছেন, মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্টের পর পুলিশ নিশ্চিত হয় কিছুদিন আগেই গর্ভপাত হয়েছে তার। ৩ জানুয়ারির পর থেকে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয় নাবালিকা। ৯ জানুয়ারি বাড়িতে গর্ভপাত হয় তার। মায়ের সঙ্গে গিয়ে ভ্রূণটি ফেলে দিয়ে আসে সে। গত বছর সোশ্যাল মিডিয়াতে ১৭ বছরের এক কিশোরের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয় এবং এর ফলে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গর্ভবতী হওয়ার খবর জানতে পেরে মুম্বইয়ে পালিয়ে যায় নাবালক প্রেমিক। কিশোরের খোঁজ শুরু হয়েছে।