গদ্দারকে প্রকাশ্যে কটাক্ষ সুকান্তর পাল্টা আক্রমণ বিরোধী দলনেতার

দু’দিন আগে সল্টলেকের কর্মসূচিতে সুকান্তর সঙ্গে গদ্দার যে যাবেন না তা প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ছিল দলীয় বৈঠক।

Must read

প্রতিবেদন : একের পর এক নির্বাচনে হারতে হারতে বাংলায় বিজেপির (BJP) কঙ্কালসার দেহটা ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আর বিরোধী দলনেতা প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বোমা ফাটাচ্ছেন, কটাক্ষ করছেন, পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বনিবনা হতো না, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার ছিল। কিন্তু রাজ্য সভাপতির সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সম্পর্ক যে কার্যত বিষিয়ে গিয়েছে, মঙ্গলবার আর একবার তা প্রমাণিত হল।

আরও পড়ুন-অপরাজিতা বিলে ফাঁসির কথা রয়েছে, কেন্দ্র ইচ্ছে করে ফেলে রেখেছে

দু’দিন আগে সল্টলেকের কর্মসূচিতে সুকান্তর সঙ্গে গদ্দার যে যাবেন না তা প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ছিল দলীয় বৈঠক। সেখানে ছিলেন না গদ্দার। কেন অনুপস্থিত? সুকান্তর জবাব দলের বৈঠকে উনি ‘কমফোর্ট ফিল’ করেন না। এখানেই শেষ নয়। কেন থাকেন না তার উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত বলছেন, দলের বৈঠক দীর্ঘক্ষণ হয়। ওনার কর্মসূচি থাকে। বহু ঘুরতে হয়। ব্যস্ত নেতা তো! সময় কোথায়! সুকান্ত যে আসলে বিরোধী দলনেতাকে এখন আর সহ্য করতে পারছেন না, সেটা তার মন্তব্যেই স্পষ্ট। সুকান্তর প্রকাশ্য কটাক্ষের জবাবে সাংবাদিকদের খুল্লামখুল্লা উত্তর দিয়েছেন গদ্দার। বলেছেন, আমি বিরোধী দলনেতা। আমার কাজ সম্পর্কে আমি সচেতন। কাউকে শেখাতে হবে না। আমি কোনও সাংগঠনিক পদে নেই। বিজেপির দুই নেতার আকচা-আকচি যে চরমে পৌঁছেছে, রাজনৈতিক মহল অনুধাবন করতে পারছে। দিল্লি থেকে ছোট-মাঝারি নেতাদের পাঠিয়েও রাজ্য বিজেপির ভাঙা মেরুদণ্ড সোজা করা যায়নি, মঙ্গলবারের বিবৃতির লড়াইতে স্পষ্ট।

Latest article