মা তাঁর ছেলের প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক মেনে বিয়ে নিয়ে বিয়েতে রাজি নাই হতে পারেন। তাই বলে এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা বলা যাবে না। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, “ছেলের মা যদি বলে থাকেন যে ছেলেকে ছেড়ে না থাকতে বেঁচে থাকার দরকার নেই”- তাহলেও এই মন্তব্য আত্মহত্যার প্ররোচনা বলে গ্রহণ হবে না।
২০০৮ সালে নরেন্দ্রপুর-গড়িয়া স্টেশনের মাঝে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সৌম্যা পাল। বাবু দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে ৩-৪ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাঁদের বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাবুর মা, অভিযোগ সৌম্যার পরিবারের। ঘটনার দিন কয়েক আগে বাবুর সঙ্গে তাঁর প্রেমিকার তর্কাতর্কি হয়। তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর প্রথমে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করলেও পরে সৌম্যার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুর বাবা-মা এবং অন্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন- ফের পিছলো আরজি কর মামলার শুনানি!
মামলাটি প্রথমে কলকাতা হাই কোর্টে বিচারাধীন ছিল। সেখানে বাবুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্দেশ দেয় কোর্ট। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) দ্বারস্থ হন তাঁরা। কয়েকদিন আগে মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চে। আজ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বাবুর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা খারিজ করে জানিয়েছে, “আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারা যুক্ত করতে হলে এমন কোনও কাজের প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ লাগবে, যা মৃতকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।”