মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) জলগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ায় ভয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে লাইনে নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন যাত্রী। সেই সময় অপর দিক থেকে আসা একটি ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ১১ জন যাত্রীর। লখনউ থেকে মুম্বইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক ছড়ায়। যাত্রীদের মধ্যেই কেউ একজন অ্যালার্ম চেন টানেন। ট্রেন থামতেই আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন বেশ কয়েকজন যাত্রী। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস সেই সকল যাত্রীদের ধাক্কা মারে। এর ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রাথমিক স্কুলের আদলে আইসিডিএস কেন্দ্র
রেলের তরফে খবর, বিকেল ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনে আগুন আতঙ্কে কেউ চেন টানায় পরধাদে স্টেশনের কাছে পুষ্পক এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যায়। যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পাশের রেললাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ব্রেক বাইন্ডিংয়ের ফলে পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি কামরায় আগুনের সামান্য ফুলকি দেখা গিয়েছিল। এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন-সেমিনার রুমেই ধর্ষণ-খুন, স্পষ্ট বিচারকের দেওয়া রায়ে
এদিনের মর্মান্তিক ঘটনায় সময়ের সাথে মৃতের সংখ্য়া বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান আগুন আতঙ্কে অনেকেই ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। কমপক্ষে ৩০-৩৫ জনকে ধাক্কা মেরেছে বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে গুরুতর জখম হয়েছেন। এই অবস্থায় উঠছে রেলের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের চালক কোনও হর্ন দেননি। হর্ন দিলে হয়তো এত বড় একটা দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তবে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে সেই সংক্রান্ত খবর বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের কাছে ছিল কিনা এই নিয়েও বাড়ছে সন্দেহ। এর আগেও ট্রেনের সিগনালিং নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে তবে এই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি।