অমানবিক ও নিষ্ঠুর, আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ, মাথা থেঁতলে খুন ছত্তীসগঢ়ে

আদিবাসী নাবালিকাকে (Minor) গণধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ ছত্তীসগঢ়ে বিশেষ আদালত মোট ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

Must read

আদিবাসী নাবালিকাকে (Minor) গণধর্ষণের পর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ ছত্তীসগঢ়ে বিশেষ আদালত মোট ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ অভিযুক্তকে যদিও যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ের এক ১৬ বছরের আদিবাসী নাবালিকাকে সাঁতরাম মাঞ্ঝওয়ার নামের এক প্রৌঢ় বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন। নাবালিকার পরিবার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সঙ্গীদের নিয়ে তাদের বাড়িতে চড়াও হন ওই অভিযুক্ত। ছ’জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন। এখানেই শেষ নয়, রাগের মাথায় পাথর দিয়ে থেঁতলে দেন নাবালিকার মাথা। দেহ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে। মৃতার ৬০ বছরের বাবাকেও খুন করেন অভিযুক্তেরা। পরিবারের চার বছরের এক শিশুকন্যাকেও মেরে ফেলা হয়।

আরও পড়ুন-আগুন আতঙ্ক, মহারাষ্ট্রে প্রাণ বাঁচাতে ট্রেনে কাটা পড়ল কমপক্ষে ১১

ছত্তীসগঢ়ের আদালতের বিচারক মমতা ভোজওয়ানি রায় ঘোষণার সময়ে জানান এই ঘটনা অমানবিক, নিষ্ঠুর। নিজেদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য ওরা এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণ শেষ করেছে। এটি বিকৃত, নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এরপরেই সাঁতরাম ও তাঁর সঙ্গী ২৪ বছরের অনিলকুমার সারথি, ৩৪ বছরের আব্দুল জব্বর, ৩৯ বছরের পরদেশি রাম এবং ২৬ বছরের আনন্দরাম পানিকাকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন তিনি। ষষ্ঠ অভিযুক্ত ২৬ বছরের উমাশঙ্কর যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন ছাড়াও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

Latest article