সংবাদদাতা, খেজুরি : জেলায় একের পর এক সমবায় নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে তৃণমূল। এরই মাঝে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি খেজুরি ২ ব্লকের লক্ষণচক সমবায়ের ভোট। সেখানেই হারের ভয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের লাগাতার মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও নিজের দলেরই উপপ্রধানকে বেধড়ক পিটিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল অভিযুক্ত দুজনই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি ২ ব্লকের নিচ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই ঘটনায় ধৃত খেজুরি ৪ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সূর্যকান্ত দাস। পাশাপাশি গ্রেফতার বিজেপির ওই মণ্ডলের সম্পাদক বিনয় গাউনিয়াও। জানা গিয়েছে, খেজুরিতে বিজেপি আড়াআড়ি বিভক্ত। নিচ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ও উপপ্রধানের বিপক্ষ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত দলের এই দুই মণ্ডল সভাপতি ও সম্পাদক। গত ১০ জানুয়ারি রাতে উপপ্রধান তারাপদ মণ্ডলকে খেজুরির নিমতলা মোড় এলাকায় সূর্যকান্ত ও বিনয়-সহ তাদের দলবল হাতে বন্দুক নিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-সেমিনার রুমেই ধর্ষণ-খুন, স্পষ্ট বিচারকের দেওয়া রায়ে
এরপর ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী মণ্ডলের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা দলবল নিয়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তমলুকে চিকিৎসাধীন ছিলেন উপপ্রধান। সেখানে অস্ত্রোপচারও করতে হয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় সূর্যকান্ত ও বিনয়-সহ ১১ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অপরদিকে, এই পঞ্চায়েতের লক্ষণচক সমবায় সমিতির ভোটে প্রার্থী সূর্যকান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ও মারধরের। জোড়া অভিযোগের তদন্তে নামে তালপাটি কোস্টাল থানার পুলিশ। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। গ্রেফতারের আগে পুলিশকে দেখে অভিযুক্ত সূর্যকান্ত নৌকা থেকে নিজেকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পুলিশ জলে নেমে ধরে ফেলে তাকে। ফেরিঘাটে বিনয়কেও গ্রেফতার করে। তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হয় দু’জনের। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা জানান, ‘নিজেদের দলের নেতার জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রধান-উপপ্রধান। আগামীতে এলাকার সব আসনই তৃণমূলের হবে।’