জমে থাকা মামলার নিস্পত্তির জন্য হাইকোর্টে এবার অস্থায়ী বিচারপতি

পাঞ্জাব-হরিয়ানায় নিস্পত্তির অপেক্ষায় ২১ হাজার মামলা। পাটনা এবং কর্নাটক হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে গড়ে ২০ হাজার করে মামলা।

Must read

প্রতিবেদন: বিলম্বিত বিচার এবং বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের। দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে এবারে অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার সময়ই এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত। দেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এ নিঃসন্দেহে এক নজিরবিহীন ঘটনা। লক্ষ্য মুলত ফৌজদারি মামলাগুলোর দ্রুত নিস্পত্তি। সুপ্রিম কোর্টের তথ্যই বলছে,বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে এই মুহূর্তে জমে রয়েছে কয়েক লক্ষ মামলা। শুধু এলাহাবাদ হাইকোর্টেই ঝুলে রয়েছে ৬৩ হাজার মামলা। শুধু এলাহাবাদ হাইকোর্ট নয়, অত্যন্ত উদ্বেগজনক অবস্থা পাঞ্জাব- হরিয়ানা, পাটনা এবং কর্নাটক হাইকোর্টেও।

আরও পড়ুন-সমবায়ে তৃণমূল প্রার্থীদের মার, ধোলাই দলীয় উপপ্রধানকেও, পিটিয়ে গ্রেফতার বিজেপির দুই নেতা

পাঞ্জাব-হরিয়ানায় নিস্পত্তির অপেক্ষায় ২১ হাজার মামলা। পাটনা এবং কর্নাটক হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে গড়ে ২০ হাজার করে মামলা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, ৩৫ বছরের পুরনো মামলাও ঝুলে রয়েছে হাইকোর্টে। এবং দেখা যাচ্ছে, ঝুলে থাকা মামলাগুলোর অধিকাংশই ফৌজদারি। এই সমস্যার নেপথ্যে বিচারপতি এবং বিচারবিভাগের পর্যাপ্ত সংখ্যার কর্মীর অভাব । আইন বিশেষজ্ঞ এবং সমাজ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এত বিশাল সংখ্যার মামলা আদালতে ঝুলে থাকলে দেশের সংশোধনাগারগুলোতে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। কারণ, সেখানে হাজার হাজার বিচারাধীন বন্দি বিচারের প্রতীক্ষায়। সেই কারণেই অন্তত ঝুলে থাকা ফৌজদারি মামলাগুলোর অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিস্পত্তি চায় সুপ্রিম কোর্ট। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমাধান চায় এই সমস্যার।

আরও পড়ুন-সেমিনার রুমেই ধর্ষণ-খুন, স্পষ্ট বিচারকের দেওয়া রায়ে

উল্লেখ্য, ২২৪ এ ধারা অনুযায়ী অ্যাড হক ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগ করতে পারে শীর্ষ আদালত। কিন্তু সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের ব্যাখ্যা, ২২৪এ ধারার ভিত্তিতে অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের অর্থ এই নয় যে স্থায়ী বিচারপরতি নিয়োগ করা হবে না। তবে এক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্যই অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের।

Latest article