যৌনতায় সম্মতির অর্থ আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট নয়: দিল্লি হাইকোর্ট

নির্যাতিতার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়। তবে জামিনের ক্ষেত্রে এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই সাফ জানায় দিল্লি হাই কোর্ট।

Must read

যৌনতায় সম্মতি দেওয়ার মানে এটা নয় যে, আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা যায়। দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi Highcourt) এক ধর্ষণ মামলার শুনানিতে স্পষ্ট করেই জানিয়েছে যৌনতায় সম্মতি দেওয়া মানেই সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা যায় না। এই জাতীয় মামলায় এক অভিযুক্ত জামিনের আর্জি জানায় হাই কোর্টে। ওই আবেদন খারিজ করে নির্দেশনামায় এ কথা জানায় আদালত। একটি ঘটনায় ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক মহিলাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন ওই ব্যক্তির। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান সেই মহিলা। সেই মামলায় জামিন চেয়ে অভিযুক্ত হাই কোর্টে জানান, নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল। তাঁর থেকে নাকি ঋণ নিয়েছিলেন মহিলা। ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে জটিলতা বাড়ে। নির্যাতিতার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়। তবে জামিনের ক্ষেত্রে এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই সাফ জানায় দিল্লি হাই কোর্ট।

আরও পড়ুন-বিহারে শিক্ষা আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার নোটের পাহাড়

সূত্রের খবর, নির্যাতিতা বিবাহিত। তিনি মাসাজ পার্লারে কর্মরত। মহিলা জানান একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য অভিযুক্তের থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। এর পর থেকে অভিযুক্ত তাঁকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন। বিচারপতি স্বর্ণকান্তা শর্মা অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন ও জানান যৌনতায় সম্মতি থাকলেও আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার অনুমতি দেওয়া হয় নি। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে যৌনতায় সম্মতির কোন যোগ নেই। প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক সম্মতির ভিত্তিতে হলেও পরের ঘটনাগুলিতে ভয় দেখিয়ে বাধ্য করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতেই আদালতের এই পর্যবেক্ষণ বলেই জানা গিয়েছে।

Latest article