বিরল এই স্নায়ুরোগ গুইলাইন-ব্যারে সিন্ড্রোম (জিবিএস)-(GBS) এ আক্রান্ত পুণের (Pune) ৫৯ জন বাসিন্দা। সূত্রের খবর, গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যেই ১২ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। ৩৯ জন পুরুষ এবং ২০ জন মহিলা এই বিরল রোগে আক্রন্ত বলে খবর। জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে পুনে গ্রামীণ এলাকা থেকে ৩৩ জন, পুনে থেকে ১১ জন এবং পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় পৌর এলাকা থেকে ১২ জন রয়েছেন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা তিনজন রোগী এই মুহূর্তে পুনেতে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন-বাগুইআটিতে হেলে পড়েছে বাম আমলের নির্মাণ জোড়া ফ্ল্যাটবাড়ি
স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিকর্তা এই মর্মে জানিয়েছেন, রাজ্যের র্যাপিড রেসপন্স টিম বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছে এবং কড়া নজরদারি শুরু করা হয়েছে। রোগীদের মল এবং রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুনের জাতীয় ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইভি) পাঠানো হয়েছে। যে সকল এলাকা থেকে আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে সেখানকার জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে। জিবিএস-এর সন্দেহভাজন কোনও রোগীর খোঁজ পেলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেসরকারি চিকিৎসকদের। যদিও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। স্বাস্থ্যবিভাগ যথেষ্ট উন্নতমানের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন-পুষ্পক এক্সপ্রেস থেকে ঝাঁপের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
পুনে পৌরসভার স্বাস্থ্যপ্রধান এই মর্মে জানান, বেশিরভাগ রোগী বাইরের খাবার বা জল খেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে, রোগীরা পেটের সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন যদিও সেটা কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। পরে হঠাৎ তাঁরা দুর্বল হয়ে যান। যা জিবিএসের একটি লক্ষণ। আপাতত পুনে শহর, পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়, নান্দেড়গাঁও, নান্দোশি, কির্কিটওয়াড়ি, ধায়ারি এবং খড়কওয়াসলার বাসিন্দাদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জিবিএস-এ আক্রান্তদের দ্রুত দুর্বলতা দেখা দেয়। ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর জেজুনি ব্যাকটেরিয়া থেকে এই সংক্রমণ হয় বলেই জানাচ্ছেন অভিজ্ঞরা। তবে জিবিএস সঠিক চিকিৎসাতে সেরে যায়। আতঙ্কিত হওয়ার কোন বিশেষ কারণ নেই।