ঠাকুরপুুকুরের (Thakurpukur) অভিজাত আবাসন ডায়মন্ড পার্কে মহিলার ভয়াবহ খুন। বুধবার ওই আবাসনে ভাড়া আসেন ওই মহিলা। এলাকায় নতুন বলে প্রতিবেশীরা ভদ্রমহিলার পরিচয় এখনও দিয়ে উঠতে পারছেন না। তবে এদিনের ঘটনা নিয়ে বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে খুনের মোটিভ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। ভাড়া নিয়ে ঠাকুরপুকুরের এক অভিজাত এলাকায় এসেছিলেন এই মহিলা। পরেরদিনই ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে মহিলার গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন-৫৯ জন বিরল রোগে আক্রান্ত পুণেতে
পুলিশ সূত্ৰে খবর, মহিলার বয়স আনুমানিক চৌত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ হবে। মহিলার গায়ে একাধিক ধারাল অস্ত্রের কোপ রয়েছে। গোটা এলাকা আপাতত ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা রয়েছেন। তিনি কোন দালালের সূত্রে এই বাড়িতে ভাড়া এসেছেন, কিনা সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। মহিলার পরিচয় জানতে পারলে খুনের মোটিভ অনেকটাই স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বাগুইআটিতে হেলে পড়েছে বাম আমলে নির্মিত জোড়া ফ্ল্যাটবাড়ি
মহিলা বাড়িতে একা থাকতেন। প্রথম তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় কে দেখতে পান, সেটাও জানা যায় নি। বাড়ির মালিক প্রথম দেখে থাকতে পারেন বলে আপাতত মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান এলাকা ক্রমশ এত বড় হয়ে গিয়েছে, কে কখন কোথায় ভাড়া আসছে, কোথায় যাচ্ছে কেউই নজরে রাখে না। মহিলাকে ভাড়ার খোঁজ যিনি দেন তিনি জানিয়ছেন তিনি লন্ড্রির কাজ করেন। ১৭ তারিখ তাঁকে নিয়ে আসেন। তার দোকানের সামনেই ওরা জিজ্ঞাসা করছিল এই এলাকায় কোথাও কোন ঘর খালি রয়েছে কিনা। বাড়ির মালিক সে সময়ে দোকানেই ছিলেন। তিনি জানান তার বাড়ি খালি রয়েছে। মহিলা জানিয়েছিলেন তাঁর বর আছেন এবং পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই এসেছিলেন। আধার কার্ড দেখিয়েছিলেন। মহিলা বলেছিলেন তিনি নাকি ইএসআই হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন।
আরও পড়ুন-পুষ্পক এক্সপ্রেস থেকে ঝাঁপের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন বাড়ির মালিক এর থেকে খবর পেয়ে লন্ড্রিতে কর্মরত ব্যক্তি এসে দেখেন মহিলার মাথার পিছন থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। মেঝেতে পড়েছিল নিথর দেহ। কিন্তু মহিলার স্বামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। স্বামী থাকতেও উনি একা কেন থাকতেন বা স্বামীর উপস্থিতি প্রথম থেকে থাকলেও পরে কেন তিনি উধাও সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।