পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে দলিতদের পদযাত্রা

একমাস পরেও যখন তাঁদের দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে, তখন দলিত প্রতিবাদকারীরা পারভানি থেকে মুম্বই পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু করেছেন।

Must read

প্রতিবেদন: প্রায় এক মাস ধরে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের পরিবার এবং বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রের পারভানিতে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। দলিতদের উপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। গত ১১ ডিসেম্বর ‍‘কম্বিং অ্যাকশন’-এর নামে বেশ কয়েকজন দলিত পুরুষ ও মহিলাকে মারধর করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। দলিতদের জিনিসপত্র তছনছ করে চরম হেনস্থা করার অভিযোগ উঠছে। এই পুলিশি হিংসার প্রতিবাদে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠলেও তাতে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। একমাস পরেও যখন তাঁদের দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে, তখন দলিত প্রতিবাদকারীরা পারভানি থেকে মুম্বই পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু করেছেন। বিজেপি সরকারের দলিতবিরোধী মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রায় ৬০০ কিলোমিটারের পদযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-আই লিগ টু-এ আজ অভিযান ডায়মন্ড হারবারের

দলিতদের প্রতিবাদী পদযাত্রার শরিক ৮০ বছর বয়সী শিরসবাই সাওয়ান্ত বলেছেন, আমরা পুলিশের সবচেয়ে ভয়াবহ নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছি, এবং একমাস কেটে যাওয়ার পরেও বিজেপি সরকার নির্বিকার। আমরা হাঁটব যতক্ষণ না সরকার আমাদের দাবির প্রতি মনোযোগ দেয়। পুলিশের শাস্তির দাবিতে পারভানি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রায় শতাধিক নারী, বহু প্রবীণ ও তরুণ আম্বেদকরপন্থী কর্মীও যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি এই হিংসার শিকার, এবং পুলিশের হামলায় শারীরিকভাবে জখম হয়েছেন কেউ কেউ। প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর, পারভানি শহরের কেন্দ্রস্থলে এক উগ্র হিন্দুত্ববাদী ব্যক্তি ভারতীয় সংবিধানের একটি প্রতিকৃতিকে অবমাননা করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা আম্বেদকরপন্থীদের ক্ষুব্ধ করে এবং শহরজুড়ে জনসাধারণের প্রতিবাদ শুরু হয়। যদিও কিছু জায়গায় প্রতিবাদ সহিংস হয়ে ওঠে, কিন্তু পরবর্তী পুলিশি পদক্ষেপ ছিল চূড়ান্ত দমনমূলক। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ পারভানির দলিত বস্তিতে ঢুকে পুরুষ ও মহিলাদের নির্মমভাবে মারধর করছে। ৫০ জনেরও বেশি যুবক ও মহিলা গ্রেফতার হন এবং পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের হেফাজতে হিংসায় আইনের ছাত্র, সোমনাথ সূর্যবংশীর মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, যাযাবর ওয়াদার সম্প্রদায়ের সদস্য সূর্যবংশী পুলিশি নির্যাতনে অভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে মারা গিয়েছেন। অথচ এই প্রমাণ সত্ত্বেও পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়নি দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রশাসন। উল্টে পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধ ধামাচাপা দিতে নামে বিজেপি সরকার।

Latest article