হে রুদ্র

বাংলা থিয়েটারের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। অভিনেতা এবং নির্দেশক। নান্দীকারের মাধ্যমে উপহার দিয়েছেন বেশকিছু উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা। ৩১ জানুয়ারি জন্মদিন। ৯০ ছোঁবেন। নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

শুরু থেকেই থিয়েটারে আসার ইচ্ছে ছিল? নাকি হতে চেয়েছিলেন অন্যকিছু?
ছাত্রজীবনে অভিনয় করেছি। তবে পাকাপাকিভাবে থিয়েটারে আসার কথা তখনও ভাবিনি। কলেজে ক্রিকেট খেলেছি। ক্যাপ্টেন ছিলাম। ফুটবলও খেলেছি। পাশাপাশি থিয়েটার। নানারকম কাজের মধ্যে থাকার আগ্রহ বা প্রবণতা আমার মধ্যে শুরু থেকেই ছিল। সেটা অবশ্য জেনারেল স্মার্টনেসের কারণে। মানুষের যখন বয়স বাড়ে, তখন অনেককিছু ছেড়ে ছেড়ে যায়। আমিও সবকিছু ছেড়ে একটা সময় থিয়েটারকে আঁকড়ে ধরি। থিয়েটার আমার কাছে সবচেয়ে কাছের এবং কাজের হয়ে ওঠে। থিয়েটারে আমি সময় দিয়েছি, মনোযোগ দিয়েছি। নিয়েছি মানসিক প্রশিক্ষণ। করেছি কঠোর পরিশ্রম। থিয়েটারে পাকাপাকিভাবে থেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল— আমি একজন সমাজ সচেতন মানুষ। সামাজিকতার মধ্যে থাকতে ভালবাসি। থিয়েটার আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। এটা একটা সমবেত জার্নি। মনে রাখতে হবে— দুটো জিনিস একা একা করা যায় না। একটা প্রেম, অন্যটা থিয়েটার।

আরও পড়ুন-ইভেন্ট ম্যানেজারদের দিয়ে এ যেন সাজানো চিত্রনাট্য

নান্দীকারের সঙ্গে কোন সময় এবং কীভাবে সম্পর্ক রচিত হয়েছিল?
রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম। তবে মাস্টার্স করার পর রাজনীতি থেকে সরে আসি। ছয়ের দশকের শুরুতে। ১৯৬১ সালে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব। তখন ওরা সবে নান্দীকার শুরু করেছে। সেই সময় আমি সাধ্যমতো ওদের সাহায্য করতাম। ছাত্রজীবনে ‘নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র’ অ্যাডপ্ট করেছিলাম। নাটকটা দিয়েছিলাম ওদের। সেটাই নান্দীকারের প্রধান প্রযোজনা হয়ে ওঠে। সারা ভারতবর্ষ থেকে আমন্ত্রণ আসে। কোনও অভিনেতার অনুপস্থিতিতে অভিনয়ও করেছি। এইভাবেই পাশে থেকে সাহায্য করতে করতে একটা সময় নান্দীকারের মধ্যে পুরোপুরি ঢুকে পড়ি।

প্রত্যেকের জীবনেই কেউ না কেউ আইডল থাকেন। থিয়েটারে আপনার আইডল কে ছিলেন?
সেই অর্থে আইডল কেউই ছিলেন না। তবে একজনকে আমি ফার্স্ট পার্সন ইন ইন্ডিয়ান থিয়েটার মনে করতাম। তিনি হলেন শম্ভু মিত্র। প্রজ্ঞা, কৃৎকৌশল, কাজের ফল— সবকিছু নিয়েই তিনি ছিলেন একজন গ্রেট স্টার।

শম্ভু মিত্রের পরিচালনায় আপনি অভিনয় করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা কীরকম ছিল?
শম্ভু মিত্রের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকে অভিনয় করেছি। প্রথমে উনি আমাকে সর্দারের চরিত্র দিয়েছিলেন। আমি রাজি হইনি। কারণ ওই চরিত্রে অমর গঙ্গোপাধ্যায় অসাধারণ অভিনয় করতেন। শেষপর্যন্ত আমি ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করি। অভিজ্ঞতা ভালই। প্রসঙ্গত, আমি যেমন শম্ভু মিত্রের পরিচালনায় অভিনয় করছি, তেমন শম্ভু মিত্রও আমার পরিচালনায় অভিনয় করেছেন। ‘মুদ্রারাক্ষস’ নাটকে।

সেইসময় নান্দীকারের পাশাপাশি আরও অনেক দল নাট্যচর্চায় নিয়োজিত ছিল। সেই দলগুলোর কথা একটু বলুন…
আমাদের দলের পাশাপাশি তখন অনেক নাটকের দল নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিল। ভাল ভাল প্রযোজনা হয়েছে। আলাদাভাবে কোনও দল বা নাটকের নাম উল্লেখ করছি না। কোনওরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না আমাদের মধ্যে। কারণ প্রতিটি দলের নিজস্বতা ছিল। কেউ কারও মতো নয়। ফলে আমরা নিজেদের মতো কাজ করে গেছি। নান্দীকারের পাঁচজন জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার, সোহিনী সেনগুপ্ত এবং আমি। মনে রাখতে হবে— নান্দীকার অনেকগুলো ব্যাপারে পাইওনিয়ার। সংগঠন ছিল মজবুত। অন্যান্য দলের অভিনেতাদের মধ্যে বিভাস চক্রবর্তী আমার খুব পছন্দের। বিভাস একটা সময় নান্দীকারেও এসেছিল।

আপনার দুই সহ-অভিনেত্রী কেয়া চক্রবর্তী এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। এঁদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেয়ার মধ্যে ট্রিমেন্ডাস প্যাশন ছিল। সবসময় কিছু না কিছু খুঁজে বেড়াত। অনেক কিছুই করতে চাইত। কিন্তু বেচারি সেই সুযোগ পেল না। অকালেই চলে গেল। ‘ভালোমানুষ’ নাটকে অভিনয়ের জন্য কেয়ার খুব নাম হয়েছিল। আরও কিছু উল্লেখযোগ্য নাটকে অভিনয় করেছে। স্বাতীলেখা কলকাতার মেয়ে নয়, এলাহাবাদের মেয়ে। কলকাতার মেয়ে হলে স্বাতীলেখার নাম অনেক বেশি হত। বহু গুণের সমাহার ছিল ওর মধ্যে। ক্লাসিক্যাল গান গাইত। ট্রেনিং নিয়েছিল। পাশাপাশি গাইত রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিক। ছবি আঁকত, বেহালা বাজাত, পিয়ানো বাজাত। ‘ঘরে-বাইরে’ ছবিতে জেনিফারকে পিয়ানো বাজাতে দেখা গিয়েছে। সেটা আসলে স্বাতীলেখার বাজানো। চলে যাবার কিছুদিন আগে এক জোড়া বাঁশি কিনেছিল। শিখেও গিয়েছিল বাজাতে। মধ্য পঞ্চাশে গাড়ি চালাতে শিখেছিল, সাঁতার কাটতে শিখেছিল। গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছিল আমার বোকামির জন্য। কারণ ও গাড়ি চালালে আমি ভয় পেতাম। লেখাপড়াতেও ছিল দুর্দান্ত। ইংরেজিতে ফার্স্টক্লাস। এতরকম গুণ, ভাবাই যায় না। বাইরে থেকে আসা বলেই হয়তো একটু আড়ালে থাকত। প্রেস মিটে দাঁড়াত পিছনের দিকে। প্রচারে আসার মোহ ওর মধ্যে একেবারেই ছিল না। যে কারণে পাবলিক মেমোরিতে স্বাতীলেখা ততটা নেই, যতটা থাকা উচিত ছিল। অথচ সে ছিল অসাধারণ অভিনেত্রী, নির্দেশক। ওর রচিত-নির্দেশিত ‘মাধবী’ এক অসাধারণ প্রোডাকশন। কিছুদিন আগেই মঞ্চস্থ হল। নান্দীকার জাতীয় নাট্যমেলায়। নাটকটা দেখলে লোকজন খুব খুশি হয়।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

পরিচালক স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর কথা আরেকটু জানতে চাই। কী হত রিহার্সালে?
রিহার্সালে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হত। আবার ভালবাসাও হত। মাঝেমধ্যেই স্বাতীলেখা সন্ধেবেলায় রিহার্সাল রুম থেকে একা একা বেরিয়ে পড়ত। আমি অসহায়ের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ওকে খুঁজে বেড়াতাম। চিন্তা হত— কিছু একটা করে বসল না তো! এইরকম বহুবার করেছে। আমি কষ্ট পেতাম। একদিন জানতে চাইলাম, তুমি এইরকম করো কেন? উত্তরে বলেছিল, আমি দেখতে চাই তুমি আমাকে কতটা চাও।

অভিনেতা এবং নির্দেশকের মধ্যে নিজের কোন সত্তাকে এগিয়ে রাখেন?
শুধু অভিনেতা বা নির্দেশক নয়, থিয়েটারে আমি লাইটম্যান, ঝাড়ুদার হিসেবেও কাজ করি। একজন নির্দেশক হল ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ। ব্যাপার হল— তার সহযোগীরা যদি ভাল না হয়, তাহলে ক্যাপ্টেন কী করবে? জল তৈরি হবে তখনই, যখন হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন মিশবে। ফলে দলে সবারই গুরুত্ব রয়েছে। আমার একার কিছুই করার নেই।

একটু অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। কোনও এক বছর রাজ্য সরকার আয়োজিত নাট্যমেলায় আপনাকে উদ্বোধকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এখন নাট্যমেলা আর কলকাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। নাটকের এই যে প্রচার-প্রসার, এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
ভালই লাগে। প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে মনে রাখতে হবে, নাট্যমেলা কালচার শুরু হয়েছে নান্দীকারের হাত ধরেই। দেশ-বিদেশের বহু দল অংশ নিয়েছে আমাদের জাতীয় নাট্যমেলায়। বিভিন্ন দল আবেদন জানায় সুযোগের জন্য। এই জনপ্রিয়তার ফলেই চারদিকে নাট্যমেলা শুরু হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। একটা সময় ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক ফেস্টিভ্যাল গ্রান্ট দেওয়া শুরু করে। এর ফলে হয়তো কিছু ভাল কাজ হয়েছে। পাশাপাশি হয়েছে সর্বনাশও। বহু থিয়েটারের দল ফেস্টিভ্যালের নামে গ্রান্ট নিয়ে কিছুটা ফেস্টিভ্যালে খরচ করে, বাকিটা নিজেদের কাজে লাগায়। এটা অনুচিত। বাঁচতে হয় নিজের জোরে। নিজের ক্ষমতায়। যে দল সেটা পারে না, অন্যের মুখাপেক্ষী থাকে, তাদের পক্ষে দীর্ঘদিন টিকে থাকা মুশকিল। লাঠি ছাড়া নিজের পায়ের জোরে দাঁড়াতে হবে। সেটা করার সুযোগ পায় না বা নেয় না বহু দল। তারা ভারত সরকারের গ্রান্টের দিকে তাকিয়ে। এই দলগুলোকে দিয়ে থিয়েটারের কোনও উপকার হবে বলে মনে করি না।

আরও পড়ুন-বিপাকে ইউক্রেন, অন্যদেশকে সহায়তা বন্ধ করলেন ট্রাম্প

নিশ্চয়ই এখনকার থিয়েটার দেখেন। নতুন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রী, নির্দেশকের কাজ আপনার কেমন লাগে?
এখন খুব বেশি থিয়েটার দেখা হয়ে ওঠে না। একটা সময় চাকরি ছেড়ে খবরের কাগজে থিয়েটারের রিভিউ লিখতাম। সেইসময় প্রচুর থিয়েটার দেখেছি। অধিকাংশ থিয়েটারই খাজা মনে হত। অর্থাৎ আমি যে থিয়েটার দেখতে চাইতাম, সেটা পেতাম না। বেশিরভাগ সময় দেখতাম প্রম্পটারের গলা বেশি শোনা যাচ্ছে, অ্যাক্টরের তুলনায়। তবু বাধ্য হয়ে দেখতে হত। কিছুদিন পর মনে হল দিস ইজ টু মাচ। ছেড়ে দিলাম রিভিউ লেখার কাজ। এইভাবেই থিয়েটার দেখা আমার কাছে কষ্টের জায়গা হয়ে গিয়েছিল। তবে কিছু কিছু দেখি। নতুন অনেকেই খুব ভাল কাজ করছে।

আপনার দুই ছাত্র গৌতম হালদার এবং দেবশঙ্কর হালদার। দু’জনেই একটা সময় নান্দীকারে ছিলেন। বর্তমানে আছেন অন্য দলে। সাম্প্রতিক সময়ে এঁদের কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে আপনার? এই দু’জন সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
দু’জনেই আমার স্নেহের। এখন একটা কথা মনে হয়— গৌতম যদি নান্দীকারে থেকে যেত, তাহলে ওর আরও ডেভলপমেন্ট হত। কারণ, নান্দীকারে ও অনেক দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী, টেকনিশিয়ান পেতে পারত। ওরা ওকে সাপোর্ট দিত। বর্তমানে নির্দেশনা এবং অভিনয়ের পাশাপাশি সংগঠন চালানোর ব্যাপারেও গৌতমকে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে। সময় দিতে হচ্ছে। এটা বেশ চাপের। নান্দীকারে সংগঠনের দিকটা ওকে একেবারেই দেখতে হত না। যাই হোক, গৌতমের মধ্যে অভিনয় করার একটা পাগলামি আছে। সেটা খুবই পছন্দ করি। অন্যদিকে, দেবশঙ্কর ভীষণ কনফিডেন্ট। ভীষণ স্মার্ট। অসাধারণ স্মৃতিশক্তি। রাতারাতি একটা বড় রোল মুখস্থ করে নিতে পারে। এই গুণগুলো ওর মধ্যে প্রবলভাবে রয়েছে।

আরও পড়ুন-সিপিএমের হামলার প্রতিবাদে কৈলাশ মিশ্রর নেতৃত্বে ধিক্কার সভা

চলচ্চিত্রে আপনাকে সেইভাবে পাওয়া গেল না কেন?
চলচ্চিত্রে কিছু কাজ করেছি। আসলে ওই জগতের কারও সঙ্গেই দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক রচিত হয়নি। ডাক পেয়েছি, গেছি, কাজ করেছি, চলে এসেছি। মঞ্চে পৌঁছনোর আগের যে লম্বা জার্নি, ওটাই হল থিয়েটার। একসঙ্গে বসা, কথা বলা, ভাববিনিময়— কতকিছু হয়। চলচ্চিত্রে সেটা হয় না। ওয়ার্কশপ হলে মনে হয় কিছুটা আলাপ-আলোচনার সুযোগ থাকত। কিন্তু সেটা তখন হত না। সেই কারণেই হয়তো ওই মাধ্যমের মানুষজনের সঙ্গে তেমন আলাপ-পরিচয় হয়নি এবং খুব বেশি কাজ করাও হয়ে ওঠেনি। একটা দূরত্ব থেকে গিয়েছে।

একটা সময় আপনি থিয়েটার-সমালোচনার কাজ করেছেন। বর্তমান সময়ের থিয়েটার-সমালোচকদের সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কীরকম?
আমাদের এখানে সমালোচনার জায়গাটা খুবই দুর্বল। অনেক সমালোচক থিয়েটারকে উৎসব না ভেবে অঙ্কের ক্লাস মনে করেন। বাংলা রচনা মনে করেন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে উপকারিতা-অপকারিতা, দোষ-গুণ খোঁজার চেষ্টা করেন। যদিও এটা তাঁর কাজ নয়। এঁরা তীব্রভাবে থিয়েটারের ক্ষতি করছেন। এই সমালোচকরা ভুলে যান— আমি না থাকলে তুমি নেই। কিন্তু তুমি না থাকলেও আমি আছি। বহু সমালোচক আবার পরামর্শ দেন— এটা করলে ভাল হত, ওটা করলে ভাল হত। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি— এতই যদি জ্ঞান, তাহলে একটা দল বানিয়ে থিয়েটার করলেই তো পারেন!

নতুন কোনও নাটকে নির্দেশনা দেওয়ার ইচ্ছে আছে?
একেবারেই না। আর কোনও নাটকে নির্দেশনা দেওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। তবে আমি দলের সব রিহার্সালেই উপস্থিত থাকি। মাঝেমধ্যে মত প্রকাশ করি। অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই। আমাদের দলে এখন অনেকেই ডিরেকশন দেয়। কিন্তু কেউই আমাকে ডিরেকশন দেয় না। এটাই হল মুশকিল। সোহিনী মাঝেমধ্যে প্রশংসা করে। শুনতে ভালই লাগে। কারণ সোহিনী কখনও মিথ্যা বলে না। যাই হোক, বয়স হয়েছে। যতদিন পারব থিয়েটার করে যাব। নান্দীকারের সঙ্গে থাকব। রিহার্সাল, মঞ্চ, আলো, দর্শক ছাড়া আমি এক মুহূর্ত শ্বাস নিতে পারি না।

আরও পড়ুন-কলকাতা বইমেলায় বিশ্ব হিন্দু বার্তার স্টলে অনুমতি

৩১ জানুয়ারি আপনার জন্মদিন। ৯০ ছোঁবেন। কীভাবে কাটাবেন বিশেষ দিনটা?
জন্মদিনে আমি সাধারণত ঘর পরিষ্কার করি। সেই ছোটবেলা থেকেই। আগে স্বাতীলেখা দিনটা পালন করত। আমার জন্য রান্না করত। পায়েস বানাত। এবার সোহিনী পালন করবে। বাড়িতে থিয়েটারের লোকজন আসবে। আড্ডা হবে। সবটাই ঘরোয়াভাবে।

Latest article