লিস্টনের গোলে মানরক্ষা মোহনবাগানের

কিন্তু ঘরের মাঠে অগোছালো ফুটবল, জেতার মতো খেলেনি দল। বরং গতবারের লিগ-শিল্ড জয়ীদের মান বাঁচল লিস্টন কোলাসোর অসাধারণ গোলে।

Must read

চিত্তরঞ্জন খাঁড়া: সুনীল ছেত্রী, আলবার্তো নগুয়েরাদের থামিয়ে ১০৯ দিন পর কান্তিরাভায় হারের বদলা নিল মোহনবাগান। কিন্তু ঘরের মাঠে অগোছালো ফুটবল, জেতার মতো খেলেনি দল। বরং গতবারের লিগ-শিল্ড জয়ীদের মান বাঁচল লিস্টন কোলাসোর অসাধারণ গোলে। জয় ওই ১-০ ব্যবধানেই। গোলে বিশাল কাইথও যথারীতি রক্ষাকর্তা। পরপর দুই ড্রয়ের পর জয়ের সরণিতেও ফিরল মোলিনা ব্রিগেড। যুবভারতীর গ্যালারিতে উড়ল সবুজ-মেরুন আবির। হাসিমুখে বাড়ি ফিরলেন সমর্থকরা। লিগ-শিল্ড জয়ের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্টে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। এক ম্যাচ বেশি খেলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গোয়ার সঙ্গে ৭ পয়েন্টের ব্যবধান জেসন কামিন্সদের।

আরও পড়ুন-অস্ত্র-সহ যোগীরাজ্যের ৫ দুষ্কৃতীকে ধরল এসটিএফ

তবু থাকছে অস্বস্তিকর পর্যবেক্ষণ। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধ ছাড়া ডার্বি থেকে টানা চার ম্যাচ ভাল ফুটবল খেলেনি মোহনবাগান। ধারে-ভারে, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে রক্ষা পাচ্ছে দল। ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গ দেয়। মোহনবাগানের সঙ্গে এবারও হয়তো রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লাক। একইসঙ্গে এবার শিল্ড ও কাপ জিতে আইএসএল ডাবল করার হাতছানি। সুনীলরা এদিনও হেরে ২৮ পয়েন্টেই আটকে শিল্ডের লড়াইয়ে যে অনেকটাই পিছিয়ে পড়লেন। এই নিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচে চারটিতেই হার বেঙ্গালুরুর।
এদিন যুবভারতীতে দুই হেভিওয়েটের দ্বৈরথ মন ভরায়নি। দু’দলই ঘর আগলে সাবধানী ফুটবলে মন দিয়েছিল। তবে মোহনবাগানের থেকে প্রথমার্ধে কিছুটা গোছানো ফুটবল খেলে বেঙ্গালুরু। সুনীল, নগুয়েরা, এডগার, রায়ানের আগ্রাসী চতুর্ভুজে মোহনবাগানকে মাঝেমধ্যেই দিশাহীন দেখিয়েছে। তারমধ্যেই সুযোগ পেয়েছে বেঙ্গালুরু। ৯ মিনিটে সুরেশ ও ১৮ মিনিটে সুনীল সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ফাইনাল থার্ডে গিয়ে মোহনবাগান ফুটবলারদের বোঝাপড়ার অভাব দেখা গিয়েছে। তারমধ্যেই ৩৮ মিনিটে লিস্টনের দূরপাল্লার শট আটকে পতন রোধ করেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। বিরতির ঠিক আগে সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল। এক্ষেত্রে বিশালের অবদানও রয়েছে।

আরও পড়ুন-১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট

দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও ফিনিশিংয়ের অভাব ভুগিয়েছে দু’দলকেই। ৬৮ মিনিটে সহজ সুযোগ পায় মোহনবাগান। লিস্টনের পাস থেকে বেঙ্গালুরু বক্সে জেমি ম্যাকলারেন বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্টকে। তাঁর শট গোলে থাকলে এগিয়ে যেতে পারত মোলিনার দল। শেষ পর্যন্ত ৭৪ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। স্টুয়ার্টের ক্রস বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে হেড করে ক্লিয়ার করেন। বক্সের মাথায় বল মাটিতে পড়ার আগেই ডান পায়ের শক্তিশালী ভলিতে গুরপ্রীতকে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে দেন লিস্টন। এগিয়ে যাওয়ার পর স্টুয়ার্ট, লিস্টনকে তুলে কামিন্স, আশিককে নামান মোলিনা। শেষ দিকে নামান দিমিত্রি পেত্রাতোসকে। তাতেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি মোহনবাগানকে। বরং সংযুক্ত সময়ে রাহুল ভেকের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। না হলে ফের পয়েন্ট হাতছাড়া হত মোহনবাগানের।

Latest article