মহাকুম্ভে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা যোগীর, শোকপ্রকাশ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও পরিস্থিতি সামাল দিতে র‌্যাফ নামানো হয়।

Must read

আজ, বুধবার মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে প্রয়াগরাজে (Prayagraj) বহু মানুষের ভিড় হয়েছিল। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী— তিন নদীর সঙ্গমে ‘শাহি স্নান’ করতে এদিন পুণ্যার্থীরা এসেছেন দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এদিকে এই স্নানের মধ্যেই ঘটে গেল বিপত্তি। ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৫। তবে সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। আহতের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। বহু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন-বইমেলার জন্য বাড়তি বাস চলবে শহরে

রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও পরিস্থিতি সামাল দিতে র‌্যাফ নামানো হয়। এনএসজি, আধাসেনাও মেলাপ্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে তুমুল বিশৃঙ্খলা। অনেকেই স্বজনহারা হয়েছেন। হাসপাতালগুলির বাইরে ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীরদের। মর্গের বাইরেও ভিড় করছেন অনেকেই। ভিড়ের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে অনেকেই পরিবারের থেকে। মেলাপ্রাঙ্গণে মাইকে নাম ধরে বা বর্ণনা দিয়ে ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রচার করা হচ্ছে। সহয়তা কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। আদিত্যনাথের ব্যর্থতায় সাধারণ মানুষের চোখেমুখে এখন শুধুই আতঙ্ক এবং অসহায়তার ছবি। চেষ্টা করছেন দায় ঝেড়ে ফেলার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তবে নিজের পরিকল্পনা ও প্রশাসনের ব্যর্থতা স্বীকার না করে দোষ চাপালেন শুধুমাত্র মেলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের।

আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকার, শিবির ছাড়াল ৭ লক্ষের গণ্ডি

এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোকপ্রকাশ করে লেখেন, ”মহাকুম্ভে পদদলিত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা জানতে পেরে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। ইতিমধ্যেই ১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আমার প্রার্থনা শোকাহত তীর্থযাত্রীদের পরিবারের সাথে থাকবে। আমাদের বাংলার গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি যেকোন বিশাল জনসমাবেশে তীর্থযাত্রীদের জীবন সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট পরিকল্পনা এবং যত্ন সার্বিকভাবেই সর্বাধিক হতে হবে।”

 

Latest article