ময়ূরাক্ষী কটন মিল পুনরুজ্জীবিত, স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ প্রশাসনের

বীরভূমের একমাত্র কটন মিল ময়ূরাক্ষীকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করে আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলা যায় এ বিষয়ে দীর্ঘ বৈঠক হল বোলপুর সার্কিট হাউসে।

Must read

সংবাদদাতা, বোলপুর : বীরভূমের একমাত্র কটন মিল ময়ূরাক্ষীকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করে আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলা যায় এ বিষয়ে দীর্ঘ বৈঠক হল বোলপুর সার্কিট হাউসে। উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায়, পশ্চিমবঙ্গ গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল-সহ অন্য আধিকারিকেরা। এই বৈঠকে ময়ূরাক্ষী কটন মিলকে বিভিন্ন রকমের পোশাক তৈরির উপযোগী করে তোলার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।

আরও পড়ুন-সমবায় নির্বাচনে ধরাশায়ী রাম-বামের মহাজোট

প্রাথমিকভাবে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনাগুলো মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। তিনি সবুজ সংকেত দিলেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোবে। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, বর্তমানে এই মিলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনামতো শিশুপড়ুয়াদের স্কুলপোশাক তৈরির কাজ চলছে অত্যন্ত সফলভাবে। পাশাপাশি সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের যে বিশেষ পোশাক এই মিলে যাতে তৈরি করা যায় তার চিন্তাভাবনা চলছে। এককথায় বলতে গেলে, ময়ূরাক্ষী কটন মিলের আর্থিক স্বাস্থ্য কীভাবে সবল করা যায় সেই বিষয়ে আমরা জোর দিচ্ছি। এই মুহূর্তে উৎপাদন বাড়িয়ে তোলা প্রধান লক্ষ্য। পোশাকের উৎপাদন যত বাড়ানো যাবে ততই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যার ফলে এলাকার মানুষের হাতে অর্থ আসবে। এই অর্থ বাজারকে সচল রাখবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতিমারির আবহে বলেছিলেন, মানুষের হাতে অর্থ দিলে তবেই সমাজে আর্থিক স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। প্রাথমিকভাবে আমাদের উদ্দেশ্য মানুষকে আরও বেশি আর্থিক স্বাবলম্বী করে তোলা।

Latest article