প্রতিবেদন : যোগীরাজ্য প্রয়াগরাজে বুধবার ভোরে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নান ঘিরে সাধারণ মানুষ ও পুণ্যার্থীদের পদপিষ্ট হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনা খবরে আসায় মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, বর্ধমান জেলা থেকে পূর্ণকুম্ভে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন কাটোয়ার প্রৌঢ়া আলপনা হালদার (৫৭)। ফলে দুশ্চিন্তায় চোখের ঘুম উড়েছে তাঁর পরিবারের মানুষজনের। পুণ্যস্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া আলপনা হালদার কাটোয়ার সুদপুরের বাসিন্দা। পূর্বস্থলীর পিলা এলাকায় অবস্থিত কাঠিয়াবাবা আশ্রম থেকে তিনি প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে যান। কিন্তু দুদিন ধরে তাঁর খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। তাতেই চিন্তায় পড়েন তাঁরা। বুধবার সকালের বহু পুণ্যার্থীর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় তাঁদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। শোনার পর থেকেই চরম উদ্বিগ্নে রয়েছেন আলপনা হালদারের পরিবারের লোকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সুদপুরের আলপনা দেবী তাঁর ভগিনীপতি-সহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন মহাকুম্ভ উপলক্ষে। কিন্তু দুদিন তাঁর কোনও খোঁজ না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে প্রয়াগরাজে রওনা দিয়েছেন তাঁর ছেলে গোপালচন্দ্র হালদার। বুধবার গোপালবাবু সংবাদমাধ্যমকে জানান, মাকে খুঁজতে যাচ্ছি আমি। ২৫ জানুয়ারি মায়ের সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয়। তাঁর সঙ্গে যাঁরা গিয়েছেন তাঁরাও এখন মায়ের খোঁজ পাচ্ছেন না। তার উপর আজকের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভীষণই চিন্তা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন-জেলার স্কুল লাইব্রেরি পরিদর্শনে স্ট্যান্ডিং কমিটি
এদিকে, কুম্ভস্নানে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে জখম শিলিগুড়ির দীনেশ পণ্ডিত। ৬ বন্ধু শুক্রবার কুম্ভে যান। বুধবার ভোররাতে স্নানে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে পদপিষ্ট হওয়ার হাত থেকে প্রাণে বাঁচেন দীনেশ। তবে জ্ঞান হারান। পরে তাঁকে উদ্ধার ও চিকিৎসা করায় সুস্থ হয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ।