২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, ১৪টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের ডিম সরবরাহ করে। এবার পড়ুয়াদের মিড ডে মিল নিয়ে মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিল। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এখন থেকে মিড ডে মিলের ডিম এবং চিনির জন্য স্কুলগুলিকে আর সরকার অর্থ প্রদান করবে না। ২০২৩ সালের নভেম্বরে মহারাষ্ট্র সরকার পড়ুয়াদের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে সরকারি স্কুলগুলিতে ডিম ও ফল দেওয়া চালু করেছিল। স্কুলগুলিকে পড়ুয়া পিছু ৫ টাকা অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এসএমসি) যদি পড়ুয়াদের ডিম সরবরাহ করতে চায় তবে তারা সাধারণ মানুষের থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের তরফে হলফনামা অসম্পূর্ণ, ‘ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জিং’-এর উপর জারি হল কড়া নিষেধাজ্ঞা
সূত্রের খবর, রাজ্যে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য প্রতি সপ্তাহে ২৪ লক্ষ ডিম লাগে। বছরে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল প্রকল্পে অংশগ্রহণ বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পড়ুয়া পিছু দৈনিক খাদ্য ব্যয়ের উপর নির্ধারণ করা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে শিশুদের স্বার্থেই স্কুল পরিচালনা কমিটির এই খাবারের সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করা উচিত। মিষ্টি জাতীয় খাবারের জন্য চিনি জনসাধারণের তহবিলের মাধ্যমে সংগ্রহ করা উচিত। অতিরিক্ত তহবিল সরকার সরবরাহ করবে না।
আরও পড়ুন-পুরীতে জগন্নাথ দেবের জমি দখল ঘিরে অসন্তোষ
প্রসঙ্গত, এর আগে মধ্যপ্রদেশ সরকারও পড়ুয়াদের মিড ডে মিল থেকে ডিম বাদ দিয়েছে। গোয়া সরকারও একই কাজ করেছে। গত বছর, কর্ণাটক সরকার ঘোষণা করেছিল যে সপ্তাহের ৬ দিন শিশুদের একটি করে ডিম দেওয়া হবে। কেরল সরকারও ঘোষণা করেছে সপ্তাহে একবার পড়ুয়াদের ডিম এবং দুবার দুধ দেওয়া হবে। এর জন্য অতিরিক্ত ২২.৬৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হবে।