সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: পালিয়ে বিয়ে করেছে মেয়ে। রাগে ছেলের বাড়িতে মেয়ের পরিবারের সদস্যরা লাঠিসোটা নিয়েও চড়াও হয়। দু’পক্ষের হাতাহাতিতে গুরুতর জখম হন ছেলের বাবা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। জখম হয়েছেন ছেলের পরিবারের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাও। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে (Dhupguri)। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন। অভিযোগ, অভিযুক্তদের পরিবর্তে মৃতের পরিবারের ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঠিক কী ঘটেছিল? গত ১৫ জানুয়ারি ফালাকাটা ধনিরামপুর ১ নম্বরের এক যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই যুবক। তাঁরা মন্দিরে বিয়ে করেন। পরিবার সম্পর্ক মেনে নেবে না বুঝতে পেরেই তাঁরা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে বিয়ের খবর পেয়েই পাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকী ছেলের বাড়িতে গিয়ে হামলাও করে তারা।
এরপর ছেলের পরিবারের সদস্যরা খোঁজখবর করতে শুরু করে যে যুগল কোথায়। ধূপগুড়ি থানার পুলিশের সঙ্গেও তারা কথা বলে। যুবকের খোঁজ মিলতেই নবদম্পতিকে নিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বিচারকের সামনে দু’জনে গোপন জবানবন্দি দেন। জানান, তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজেদের ইচ্ছেতেই বিয়ে করেছেন। আদালত এরপর তাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। তবে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় ছেলের বাড়ির তরফে মেয়েটির পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- নৈহাটিতে শুট-আউট, তৃণমূল কর্মীকে খুন বিজেপি দুষ্কৃতীর