৫৪-কেও ছাপাবে ২৫-র কুম্ভ! মর্গে ডাঁই করা মৃতের স্তূপ, দেহ লোপাট চলছে যোগী প্রশাসনের

Must read

প্রতিবেদন : যোগী-রাজে মহাকুম্ভে (Mahakumbh stampede 2025) ঘটে গিয়েছে মহাবিপর্যয়। পরিকাঠামো ও পরিকল্পনার অভাবে মৌনি অমাবস্যায় অমৃতস্নানের আগে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অজস্র পুণ্যার্থী। মৃত্যুর সংখ্যা আসলে কত তা চারদিন পরও জানাতে পারেনি যোগী প্রশাসন। বহু আহত, এখনও নিখোঁজ অনেক। আসলে কুম্ভে মৃতদেহ লোপাটের কারসাজি চলছে। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের অন্তর্তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যোগী প্রশাসন যখন মহাকুম্ভে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চালাতে চাইছে, তখন লখনউয়ের এক সংবাদ চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে দেখা গিয়েছে মর্গে ডাঁই করা রয়েছে মৃতদেহ। মৃতদেহের উপরে লেখা ৫৮। গোপন ক্যামেরায় ৫৩, ৫৪, ৫৫ ‘ট্যাগ’ লাগানো দেহও দেখা গিয়েছে সেই অপারেশনে। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি।

এর আগে কোভিডকালে মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে। নদীতে ভেসে আসা সেইসব দেহ সৎকার করতে হয় বাংলাকে। এবারও কুম্ভে মৃতদেহ লোপাটের কারসাজি শুরু হয়েছে। একটি হাসপাতালের মর্গেই যদি ৫৮টি মৃতদেহের খোঁজ মেলে, তাহলে অন্যান্য হাসপাতালে ঢুঁ দিলে যে আরও মৃতদেহ মিলবে না কে বলতে পারে! বিপুল সংখ্যক নিখোঁজ সেই আশঙ্কাকে বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। কুম্ভপ্রাঙ্গণে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন আত্মীয়-পরিজনরা। তাঁদের আকুতি, কোথায় কুম্ভে (Mahakumbh stampede 2025) পুণ্যলাভে আসা তাঁদের প্রিয়জনেরা! এই পরিস্থিতিতে গোপন মোবাইল ক্যামেরায় তোলা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জাগোবাংলা। কিন্তু ওই স্টিং অপারেশনে যে দাবি সামনে তুলে ধরেছে, তাতে যোগী সরকারের মিথ্যাচার প্রকট হয়ে উঠেছে। যোগী সরকার ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও, তার প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক দেহ ডাঁই হয়ে থাকার ঘটনায় কী উত্তর দেবেন বিজেপির পোস্টারবয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ? আর নিছক সন্দেহ বা অভিযোগ নয়, স্পষ্টতই বলা যায় যোগী প্রশাসন মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করছে। কুম্ভমেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তুলেছে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি।

আরও পড়ুন- বাজেটের আগের দিনই চাঙ্গা শেয়ার বাজার, আগামিকাল কি খোলা থাকছে দালাল স্ট্রিট?

উল্লেখ্য, কুম্ভমেলা প্রয়াগরাজে ১৯৫৪ সালের দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়। নদীতে ডুবে মারা যান অনেকে। এছাড়া ১৯৮৬ সালে হরিদ্বার কুম্ভমেলায় প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়। মহারাষ্ট্রের নাসিকে ২০০৩ সালে কুম্ভমেলায় কমপক্ষে ৩৯ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে কুম্ভমেলায় সেতু ভেঙে এলাহাবাদে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

Latest article