আয়করে ছাড় দেওয়া আসলে বড় জাগলারি

তারপর প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আয়কর ক’জন দেন। দেশের মাত্র ৮ কোটি মানুষ আয়কর দেন। মোট যে দেশের জনসংখ্যা, তার তুলনায় নগণ্য।

Must read

প্রতিবেদন : আয়করে ছাড় দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দেখাতে চাইছে কী না কী করেছে। কিন্তু তা আসলে ভয়ঙ্কর জাগলারি। এটা ফের একবার প্রমাণ করছ, কেন্দ্রীয় সরকার মুখে এক কথা বলে, আর কাজে এক করে। কথায়-কাজে কোনও মিল নেই। এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করে ছাড়ের মধ্যে ছদ্মবেশী অস্ত্র লুকিয়ে রয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দিল তৃণমূল। এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট ঘোষণার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার বাজেটে যে আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে, তাতে প্রকৃত উপকারিতা মানুষ পাবেন না। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, আয়কর ছাড় নিয়ে যেসব কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা বলছেন, তার কোনও সুযোগ-সুবিধা দেশের আমজনতা পাবেন না। কারণ প্রথমত, কথায়-কাজে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী কেন্দ্রের সরকার। তাই বাস্তবায়নের ভয়ঙ্কর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তারপর ছাড় বাড়িয়েছেন ঠিক কথা। কিন্তু বর্ধিত ছাড়ের উপর ভয়ঙ্কর জাগলারি হয়েছে। বাস্তবে তা মানুষের উপকারে লাগবে না। একদিকে বলা হচ্ছে আয়করে ছাড়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নেই। যেভাবে মুদ্রাস্ফীতির কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে কী লাভ হবে? বাজেটে কর্মসংস্থানের কোনও দিশা নেই, সমাজকল্যণে বরাদ্দ ছাঁটাই হয়েছে। বোঝানো হচ্ছে আপনি ছাড় পাচ্ছেন। কিন্তু সেই সঞ্চয় বেরিয়ে যাচ্ছে। প্র্যাক্টিক্যালি কিছুই বাঁচাতে পারছেন না আমজনতা। রাজ্যের অর্থ উপদেষ্টা অমিত মিত্র আয়কর ছাড় নিয়ে বলেন, বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে কোনও দিশা নেই। ফলে যে করের টাকা বাঁচবে, সেটা গিলে নেবে মুদ্রাস্ফীতি। ফলে মধ্যবিত্তের হাতে পেন্সিল। কর ছাড়ের সুবিধা পাবে না মধ্যবিত্ত।

আরও পড়ুন-সামাজিক প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ কমিয়ে দিল কেন্দ্র

তারপর প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আয়কর ক’জন দেন। দেশের মাত্র ৮ কোটি মানুষ আয়কর দেন। মোট যে দেশের জনসংখ্যা, তার তুলনায় নগণ্য। অর্থাৎ বৃহত্তর মানুষ সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাঁদের কল্যাণের কোনও বিষয় নয় এটা। এ-প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ৮ কোটি মানুষকে সুবিধা দিয়ে কথার জাগলারি করা হচ্ছে। কতজন মানুষ ১ লক্ষ করে বেতন পান মাসে। সেই সংখ্যা তো অতি নগণ্য। দেশের বেশিরভাগ মানুষই কোনও উপকারিতা পাচ্ছেন না। তার কারণ বহু খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সাধারণ মানুষ সুবিধা পেতেন তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, না হলে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বরাদ্দ। ফলে পরিষেবা মিলছে না। এটা একটা মারাত্মক প্রবণতা।

Latest article