প্রতিবেদন : ম্যাচ শেষে সতীর্থদের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়লেন সুপারম্যান। শেষ ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাই হল। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাংলা পাঞ্জাবকে ইনিংসে হারাল। কিন্তু এই ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট পেয়েও ৭ ম্যাচে মোট ২১ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়া হল না বাংলার। ঋদ্ধিমানের খারাপ লাগতে পারে যে, বিদায়ী ম্যাচে তিনি শূন্য রান করেছেন। দস্তানায় জমা পড়েনি একটিও ক্যাচ।
আরও পড়ুন-বিরাট-আবেগ নিয়ে রেলকে হারাল দিল্লি
ম্যাচ জিতেই ঋদ্ধিমানকে বিদায় জানাতে চেয়েছিল দল। বোলারদের দাপটে সেটাই হল। এদিন ১৩৯ রানে শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাবের ইনিংস। সর্বোচ্চ রান মায়াঙ্ক মার্কান্ডের ৩১। ক্রিকেটার হিসাবে মাঠে শেষ দিন উইকেটের পিছনেই কাটালেন সুপারম্যান। উইকেটের পিছনে তাঁর উড়ন্ত ক্যাচের জন্য এই নাম পেয়েছিলেন। খেলার পর বাংলার কোচ লক্ষ্ণীরতন শুক্লা বলছিলেন, সবাই ভাল খেলেছে। সুরজ ব্যাটে-বলে দারুণ করেছে। সবমিলিয়ে মরশুম ভালই কেটেছে। বেশ কয়েকজন তরুণকে সুযোগও দিয়েছি।
সুরজ এই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। নেন আটটি উইকেট। পাঞ্জাব ৬৪-৩ নিয়ে খেলা শুরু করেছিল। এরপর এক সেশনেই তারা ৭৫ রানে ৭টি উইকেট হারিয়েছে। সুমিত মোহন্ত নেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট মহম্মদ কাইফের। সূরজ এই পারফরম্যান্স ঋদ্ধিমানকে উৎসর্গ করেন। ৪০টি টেস্টে উইকেটের পিছনে দাঁড়ানো কিপার ক্রিকেটের সঙ্গেই যুক্ত থাকবেন বলে খবর।
আরও পড়ুন-বারাকপুরের নয়া সিপি অজয়কুমার ঠাকুর
এই গ্রুপে ৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল কেরল। গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে নক আউটে গেল হরিয়ানা। তাদের ২৬ পয়েন্ট। বাংলার সিনিয়র ক্রিকেট দলের এই মরশুমও ট্রফিশূন্য থেকে গেল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে নক আউটে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এবার রঞ্জিতে অবশ্য গ্রুপ পর্বই পার করতে পারেনি অনুষ্টুপ মজুমদারের দল।