প্রতিবেদন: শুধুমাত্র শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাই নন, ইউনুসের টার্গেট বোধহয় এবার বিএনপির (BNP) নেতা-কর্মীরাও। সংস্কার-সহ বিভিন্ন অছিলায় নির্বাচন করাতেই চাইছেন না ইউনুস। কিন্তু অবিলম্বে নির্বাচনের দাবিতে সুর চড়িয়েছে বিএনপি। জুন-জুলাইতে নির্বাচনের দাবিতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আন্দোলনে নামারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজপথে নেমে জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশারও প্রতিবাদ জানাবে বিএনপি (BNP)। হাসিনা-বিরোধীদের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। বাংলাদেশ সেনার মারে প্রাণ হারালেন বিএনপির যুবনেতা। এই ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহঃ ইউনুসের উপরে হাড়ে চটেছে খালেদা জিয়ার দল। তাদের অভিযোগ, যুবনেতা তৌহিদুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বাংলাদেশ সেনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে কুমিল্লা জেলায়। মৃত তৌহিদুল কুমিল্লায় যুব দলের বেশ প্রভাবশালী নেতা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। দাবি জানিয়েছেন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড চাপে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। বাধ্য হয়ে সেনার কুমিল্লার সেক্টর কমান্ডারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী হয়েছিল ঘটনাটা? তৌহিদুলের দাদা আবুল কালাম আজাদ টিপুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায় যৌথবাহিনী। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ পুলিশ ফোন করে জানায়, তৌহিদুল গোমতী নদীর ধারে পড়ে আছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে গিয়ে বাড়ির লোকেরা তৌহিদুলের মৃতদেহ দেখতে পান। বিএনপি নেতৃত্ব মনে করছে, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত।
আরও পড়ুন- দশজনে খেলেও দুরন্ত জয় ডায়মন্ড হারবারের