উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) বরেলীর (Bareli) একটি খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে হাড়হিম করা সত্য উদ্ঘাটিত হল। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মহিলা জানিয়েছেন অনেকদিন ধরে তার সাথে একপ্রকার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করছিল তার সঙ্গী। দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি ওই ব্যক্তিকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল। কয়েকদিন আগে নিজের বাড়ি থেকেই ইকবালের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সূত্র ধরেই গ্রেপ্তার করা হয় এই মহিলাকে। ইকবাল জরি শিল্পী। মহিলার গ্রামে নিত্য যাতায়াত করত ইকবাল। পরিচয় হওয়ার পর ফোনে কথা হতো। অভিযুক্ত মহিলা জানান ইকবাল একদিন তাঁকে তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। বাড়িতে গেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মহিলাকে জোর করেন ইকবাল। রাজি না হলে ফোনে কথা বলা রেকর্ডিং ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। সংসার ভাঙার ভয়ে ইকবালের দাবি মেনে নেন মহিলা।
আরও পড়ুন-গান গাইতে গাইতে আচমকাই ব্যাথা! শয্যাশায়ী সোনু নিগম
এরপর থেকেই বার বার জোর করা হত মহিলাকে। সন্তানদের কথা ভেবে প্রাথমিকভাবে চুপ থাকলেও পরে অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপরে ইকবালকে খুনের ছক কষেন ওই মহিলা। তিনি নিজে ইকবালকে ফোন করে দেখা করার জন্য বলেন। ইকবাল তাঁকে স্বামীকে দেওয়ার জন্য ২টি ঘুমের ওষুধ দেন। রাত আটটা নাগাদ, স্বামীকে চায়ের সঙ্গে ওই ঘুমের ওষুধ দিয়েছেন তিনি। তার পরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টা ৪০ নাগাদ ইকবালকে ফোন করে তিনি যান ইকবালের বাড়িতে। সেখানেই ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে ইকবালের বুকের উপর বসে গলা ও মুখ চেপে শ্বাসরুদ্ধ করেন মহিলা। এখানেই শেষ নয়, ইকবাল মারা গিয়েছেন নিশ্চিত হয়ে তার দেহ টেনে বাড়ির সিঁড়িতে রেখে চলে যান তিনি।