প্রতিবেদন : প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে এবার ঘটে গিয়েছে মহাবিপর্যয়। পদদলিত হয়ে মৃত্যুমিছিল পুণ্যার্থীদের। এই মৃত্যুমিছিল নিছক দুর্ঘটনা, নাকি তার পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র? তা নিয়েই সংসদের উচ্চকক্ষে আলোচনার দাবি তুলেছিলেন বিরোধীদলের সংসদরা। কিন্তু পত্রপাঠ বিরোধীদের সেই আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। মহাকুম্ভের বিপর্যয়কে ধামাচাপা দিতে তৎপর কেন্দ্রের সরকার। যোগী সরকারের জনবিরোধী নীতিকে ধামাচাপা দিতে কতটা তৎপর মোদি সরকার, সোমবার তা ফের একবার প্রমাণিত হল রাজ্যসভায়।
আরও পড়ুন-ওবিসি মামলা : ১৮ ফেব্রুয়ারিতে শুনানি
২৯ জানুয়ারি মধ্যরাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর দাবি করে যোগী প্রশাসন। যদিও বেসরকারি মতে মৃত্যুর সংখ্যাটা ১০০-র বেশি বলে দাবি বিরোধীদের। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে যোগী প্রশাসনের মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিতে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা সংসদে আলোচনার প্রস্তাব রাখে। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে প্রথমবার সর্বদল বৈঠকে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। সোমবার প্রথম অধিবেশনের দিন ২৬৭ ধারায় নোটিশ জমা দিয়ে সোমবার রাজ্যসভায় আলোচনার নোটিশ জমা দেন তৃণমূলের ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ। তৃণমূলের পথ ধরে আলোচনার নোটিশ দেয় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি-সহ বিরোধী শিবিরগুলি। সোমবার মোট নটি নোটিশ জমা পড়েছিল ২৬৭ ধারায়। একইভাবে লোকসভাতেও আলোচনার দাবিতে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। জিরো আওয়ারে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়। কেন্দ্র সরকারের সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু স্পষ্টভাবে নরেন্দ্র মোদির স্বৈরাচারী প্রতিনিধিত্ব করে জানিয়ে দেন বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটি কী কী আলোচনা হবে তা নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে। লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে আলোচনার সব নোটিশ খারিজ করে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। ওয়াক আউট করেন। দ্বিতীয় মোদি সরকার জমানায় যেভাবে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, এবারেও আলোচনার দাবি ফিরিয়ে দিয়ে একই পথে জগদীপ ধনকড়।