পাচার রুখতে সরস্বতী পুজোর দিনে ১৪ গণবিবাহ

পাত্র ও পাত্রীরা হলেন অতি দরিদ্র পরিবারের। কারও বাবা নেই, কারও মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এঁরা মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না অর্থের জন্য

Must read

প্রতিবেদন : নারীপাচার রুখতে অভিনব আয়োজন খড়্গপুর শহরের তালবাগিচার ভলক্যানো ক্লাবের। তারা আয়োজন করল গণবিবাহের আসর। পাত্র ও পাত্রীরা হলেন অতি দরিদ্র পরিবারের। কারও বাবা নেই, কারও মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। এঁরা মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না অর্থের জন্য। নমো নমো করে বিয়ের আয়োজন করাও তাঁদের পক্ষে অসম্ভব। অনেকেই নাবালিকা বিয়ে দেন। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অনেক যুবক বাইরে কাজের টোপ দিয়ে পাচার করে। এভাবে বিয়ের নামে পাচারের বহু তথ্যও মিলেছে।
সেই সব গরিব অসহায় বাবা–মায়ের পাশে দাঁড়াল খড়্গপুর শহরের তালবাগিচার ভলক্যানো ক্লাব। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রতিবছরই গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ক্লাব সভাপতি দীপঙ্কর দাস ও সম্পাদক সুব্রত তাপালির কথায়,  ‘অনেক গরিব বাবা-মা টাকার অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না। মেয়ে পাচারের যেসব ঘটনার কথা শোনা যায়, তার পিছনে অন্যতম কারণ এটাও।’

আরও পড়ুন-বাঘাযতীন-কাণ্ডে লিফটিং সংস্থার কর্ণধার গ্রেফতার

এখনও পর্যন্ত ভলক্যানো ক্লাব এভাবে ১০৪ জন তরুণীর বিয়ে দিয়েছে। ২০১৭-এ ১১ জনের বিয়ে দিয়ে পথ চলা শুরু। তারপর কোনও বছর ১৭ জোড়া, কোনও বছর ২১ জোড়া পাত্রপাত্রীর বিয়ে দিয়েছে তারা। এ বছরে গণবিবাহের আসরে বিয়ে হবে ১৪ জোড়া পাত্র–পাত্রীর। সোমবার সরস্বতীপুজোর দিনই বসল সেই বিয়ের আসর। খড়্গপুরের শহরের বিভিন্ন ক্লাব, ব্যবসায়ী, মানুষ, কাউন্সিলররা এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর আধার কার্ড এবং বয়সের প্রমাণপত্র দিতে হয়। স্থানীয় কাউন্সিলার বা পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়েতে আপত্তি নেই বলে লিখিত অনুমতিপত্র দিতে হয়।

Latest article