দুর্গার অকাল বোধনে মাতোয়ারা কুরিটবাসী

Must read

প্রতিবেদন : সে এক আধ্যাত্মিক মুহূর্ত। চরম নাস্তিকও অজান্তেই দু’হাত জোড় করে কপালে ঠেকাতে বাধ্য হবে। আমতার কুরিটের তারাময়ী আশ্রমের পাশে অধিষ্ঠাত্রী দেবী কাত্যায়নী। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে সরস্বতী পুজোর পরের দিন মঙ্গলবার ‘অকালবোধন’ হল দেবী দুর্গার। আজ সপ্তমীর পুজো। শ্রীপঞ্চমীতে বাগ্‌দেবীর বন্দনার পরের দিন শুক্লা ষষ্ঠীতে চিন্ময়ী দুর্গা আবার নেমে এলেন মর্ত্যে। প্রায় অর্ধশতাব্দী বছর আগে যখন আমতার এই গ্রামে ভয়ানক দুর্যোগ দেখা দিয়েছিল, তখন সকলকে রক্ষা করেছিলেন দেবী কাত্যায়নী আরাধনা। সেই থেকেই চলে আসছে দেবীর আরাধনা। শাস্ত্র মেনে সরস্বতী পুজোর পরের দিন থেকে আমতার কুরিটের তারাময়ী আশ্রমে বসে অষ্টাদশভুজা দেবী কাত্যায়নীর পুজো পাঠের আসর। সেই ধারা আজও বহমান। পুজো-পার্বণ ও জমজমাট মেলা সপ্তাহ-ভর। সন্ধ্যায় বেলতলায় দেবীর বোধনের পর্ব মিটতেই শুরু হয়ে যায় মণ্ডপসজ্জা। চার সন্তান পরিবৃতা হয়ে কুরিট গ্রামের মণ্ডপে অধিষ্ঠাত্রী দেবী দুর্গা। তবে তিনি দশভুজা নন, তিনি অষ্টাদশভুজা দেবী কাত্যায়নী। গৌরবর্ণা, লাবণ্যময়ী মাতৃস্বরূপা দেবী। পরম্পরা মেনে শস্যদায়িনী দেবীর পূজা হয়ে আসছে। কুরিট তারাময়ী আশ্রমের সদস্য অভিষেক সাধুখাঁ বলেন, পঞ্চাশ বছর আগে পুজোর সূচনা হয়েছিল, তা আজও অমলিন।

আরও পড়ুন: গুলেন বারে সিনড্রোম

Latest article