”সরকার খুব সাহায্য করে, আপনারা নিশ্চিন্তে এখানে বিনিয়োগ করুন” বার্তা সৌরভের

বুধবার, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটদলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

Must read

বুধবার, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS) মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটদলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguli)। তিনি বলেন, প্রতি বছর এই সম্মেলনের পরিধি বাড়ছে। শিল্পপতিদের বাংলার মহারাজের আহ্বান ”সরকার খুব সাহায্য করে, আপনারা নিশ্চিন্তে এখানে বিনিয়োগ করুন।”

আরও পড়ুন-”বাংলায় শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল”: মুকেশ আম্বানি

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বলতে উঠে সৌরভ (Sourav Ganguli) বলেন, এত বড় মঞ্চে ডাক পেয়ে তিনি অভিভূত। রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সৌরভ বলেন, “আমি ব্যবসার খুব একটা বুঝি না। তবে গত কয়েক বছর ধরে লগ্নি করার চেষ্টা করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আধিকারিকদের থেকে ভীষণ সমর্থন ও সাহায্য পাই।“

আরও পড়ুন-বাংলায় বিনিয়োগের ঘোষণা: সরকারি প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা সঞ্জীব পুরীর

সৌরভের কথায়, “প্রত্যেক বছরই পরিধি বাড়ছে এই সম্মেলনের। বেঙ্গল বিজনেস সামিটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আসছেন। কৃষি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যক্ষেত্র, শিক্ষা থেকে শুরু করে সিনেমা, সব বিষয়ে আলোচনা হয় এখানে। ক্রিকেটের লোক হলেও আমাদের রাজ্যে এসে এত নামী শিল্পপতি ও উদ্যোগপতিরা লগ্নি করতে চান ভাবলে খুব খুশি হই। মমতাদির তরফ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।“ সৌরভের কথায়, “মুকেশ অম্বানি, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা এখানে রয়েছেন। ওঁদের ধন্যবাদ। খেলাধুলোতেও প্রচুর লগ্নি করছেন ওঁরা। আমি অনূর্ধ্ব ১৫ স্তর থেকে যখন বাংলার হয়ে খেলতাম, তখন থেকে খেলাধুলোর উন্নতি চোখে পড়ার মতো। আমি নিজে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে যুক্ত। লগ্নি শুধু বাণিজ্যে নয়, খেলাধুলোতেও হবে বলে আশা করি। শুধু ক্রিকেট নয়, অন্যান্য খেলাতেও লগ্নি প্রয়োজন। আমাদের এখানে ফুটবল ক্রিকেটের চেয়েও বড় আবেগ।“

আরও পড়ুন-‘ভয়াবহ গণহত্যা’, সুইডেনের স্কুলে বন্দুকবাজের হানায় মৃত ১০

এর পরেই রাজ্য সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করেন সৌরভ। বিশেষভাবে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কথা। বলেন, “উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে আমাদের কাছে উনি দিদিই। যখনই মেসেজ করি, এক মিনিটে উত্তর দেন। সে যত রাতেই হোক না কেন। আমি মাঝে মধ্যে ভাবি, কী করে একজন মুখ্যমন্ত্রী এত সময় পান? আশা করছি আপনার নেতৃত্বে রাজ্য আরও এগিয়ে চলবে।“

Latest article