নাগপুর, ৫ জানুয়ারি : পাঁচ বছর পর জামথার মাঠে একদিনের ম্যাচ হচ্ছে। শেষবার এখানে ওডিআই ম্যাচ হয়েছিল ২০১৯-এ। আড়াইশো রান বোর্ডে তোলার পর ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ৮ রানে।
নাগপুর-হায়দরাবাদ হাইওয়ের উপর এই স্টেডিয়াম। জায়গাটা লোকে চেনে জামথা বলে। নাগপুরের পুরনো স্টেডিয়াম ছিল শহরের উপর। কিন্তু বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এই মাঠ শহর থেকে ১২-১৪ কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতিবার এখানে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম একদিনের ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বলে এই সিরিজের তিনটি ম্যাচ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
টি ২০ সিরিজে ৪-১-এ জিতেছে ভারত। কিন্তু সেই দলের জনা দশেক ক্রিকেটার একদিনের দলে নেই। তবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাদেজাকে আজ ফের নিল জার্সিতে দেখা যাবে। অস্ত্রোপচারের পর দলে ফিরেছেন কুলদীপ যাদবও। চমক অবশ্য বরুণ চক্রবর্তীর ডাক পাওয়া। টি ২০ সিরিজে তিনি এত ভাল বল করেছেন যে, এই সিরিজে ডেকে নিয়ে তাঁকে আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তৈরি থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-নিউ টাউনে গ্লোবাল এআই হাব, ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী
সাত ব্যাটার ও চার বোলার নিয়ে নামছে ভারত। রোহিত-শুভমন ইনিংস শুরু করবেন। তিনে বিরাট। ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি এখানেই ব্যাট করবেন মনে করা হচ্ছে। চার ও পাঁচে শ্রেয়স আইয়ার ও কেএল রাহুল। রাহুল যদি উইকেটের পিছনে দাঁড়ান, তাহলে এগারোয় জায়গা হবে না ঋষভ পন্থের। পরের দুটো জায়গা হার্দিক পাণ্ডিয়া ও রবীন্দ্র জাদেজার। এতে একটা জিনিস পরিষ্কার, শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ নিয়ে এই ম্যাচে নামছে ভারত।
লাল বলে স্পিনাররা এখানে সুবিধা পেলেও সাদা বলের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। ভারত অবশ্য তবু তিনজন স্পিনার নিয়ে নামতে চলেছে। এঁরা হলেন জাদেজা, বরুণ ও কুলদীপ। সঙ্গে দুই সিমার অর্শদীপ সিং ও মহম্মদ শামি। তৃতীয় পেসার হিসাবে থাকবেন হার্দিক। এখানে টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করা দল পাঁচবার জিতেছে। পরে ব্যাট নেওয়া দল জিতেছে দু’বার।
টি ২০ সিরিজে হারের পর ইংল্যান্ডের কাছে এই সিরিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাটলাররা হৃতসম্মান পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে মানসিকভাবে ভাল জায়গায় থাকতে চাইবেন। বাটলার বুধবার ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার প্রশংসা করেছেন। রোহিত যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, বাটলার তাতে মুগ্ধ। তিনি বলেছেন, খুব কঠিন হবে এই সিরিজ। রোহিতদের কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে, ইংল্যান্ড এই ফর্ম্যাটে শক্ত চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে টি ২০ সিরিজে হারের খোঁচাও রয়েছে।