বাংলায় MICE টুরিজম: নয়া ঘোষণা রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের

Must read

পর্যটন ক্ষেত্রে বাংলাকে যেভাবে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে ভিন রাজ্য তথা বিদেশী পর্যটকদের ভিড় ক্রমশ বেড়েছে রাজ্যে। তবে রাজ্যের পর্যটনকে আরও প্রসারিত করতে ও তা থেকে বিপুল উপার্যনের পথ তৈরি করতে প্রতিটি পর্যটনস্থানকেই মাইস পর্যটনের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে এটাই গোটা বিশ্বের পর্যটনের অর্থনীতির নতুন দিশা। আর এবার মাইস পর্যটনের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বাংলাকেও, বিজিবিএস-এর মঞ্চ থেকে বার্তা লক্ষ্মী গ্রুপের চেয়ারম্যান এমডি তথা ওবিটি প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Rudra Chatterjee)।

দেশের পর্যটন মানচিত্রে বাংলার এগিয়ে যাওয়ার অবস্থান তুলে ধরে রুদ্র চট্টোপাধ্যায় (Rudra Chatterjee) জানান, রাজ্যের প্রচেষ্টার ফলাফল থেকেই শুরু করা প্রয়োজন। দেশের পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ রাজস্থান, গোয়ার মতো রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বাংলা। পর্যটনক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। রাজ্যের জিডিপির ১৩ শতাংশ বহন করে পর্যটন। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যটনে বাংলাকে এক নম্বর করার জন্য আমরা কাজ করছি।

পর্যটনে কর্মসংস্থান নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন আইটিসির চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরি। তাঁকে অনুসরণ করে রুদ্রর দাবি, রাজ্যের ৬ শতাংশ কর্মসংস্থান পর্যটন ক্ষেত্রে হয়। পর্যটনে ১ লক্ষ টাকার বিনিয়োগে ৭২ জনের কর্মসংস্থান হয়। সেখানে একই বিনিয়োগে অন্য শিল্পক্ষেত্রে ৪০ জনের নিয়োগ সম্ভব। ফলে পর্যটনে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ। শিল্পপতিরা সরবরাহ করতে প্রস্তুত। রাজ্য সরকার সেখানে পর্যটন টানার জন্য যেভাবে এগিয়ে এসেছে তার দৃশ্যায়নের মাধ্যমে বিজিবিএস-এর মঞ্চে তুলে ধরেন রুদ্র।

আরও পড়ুন-ভৌগলিক কারণে সিনে নির্মাতাদের ‘আদর্শ গন্তব্য’ বাংলা: পরিচালক গৌতম ঘোষ

তবে বাংলায় পর্যটনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে মিটিং-কনফারেন্স-এক্সিবিশন, মাইস টুরিজমের উপরই এবার জোর দেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেন লক্ষ্মী গ্রুপের কর্ণধার। তিনি জানান, একাধিক মউ এই পর্যটনের স্বাক্ষরিত হয়েছে। পার্ক হোটেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ হবে। ইতিমধ্যেই ৫০টি মিটিং নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি অণ্ডালের বিমানবন্দর, শিলিগুড়ি, দিঘার কনফারেন্স সেন্টারকে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ফ্রেট করিডোরগুলির প্রশংসা করেন তিনি। সেই সঙ্গে চা পর্যটনের কারণে মাইস টুরিজম নিয়ে আরও কাজ করা সহজ হয়েছে বলে দাবি, রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের। শেষে তিনি যোগ করেন, মাইস-এর জন্য আসুন ও একটি অতিরিক্ত দিন কাটান বাংলার পর্বত থেকে সমুদ্র ও ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করার জন্য।

Latest article