প্রতিবেদন : তিনিই এই বিশাল শিল্পযজ্ঞের কান্ডারি। তাঁরই উদ্যোগে বিশ্ব দরবারে বাংলাকে তুলে ধরে শিল্পের আবাহন পর্ব চলছে। এবার নিয়ে ৮ বার। দেশি-বিদেশি শিল্পপতিদের বাংলামুখী করে তুলতে চেষ্টার কসুর করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। আসছে ঢালাও বিনিয়োগ। আর তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) হিসেবে তিনিই এই শিল্প সম্মেলনের ‘হোস্ট’। স্বাভাবিকভাবেই শিল্পযজ্ঞের খুঁটিনাটি সবদিকেই রয়েছে তীক্ষ্ম নজর। শুরুর আগে ইকো পার্কের চা-চক্র থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খুঁটিনাটি। মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দালদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক থেকে উদ্বোধনী বক্তৃতা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে মন্ত্রী সুজিত বসুকে পাঠানো। মঞ্চে অতিথিদের স্বাগত জানাতে মন্ত্রী ড. শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদাদের দায়িত্ব দেওয়া— সবেতেই রয়েছে তাঁর ছোঁয়া। ইন্টারন্যাশনাল সেশন-এ মূলত উপদেষ্টা অমিত মিত্র থাকলেও কিছু সময়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একবার যোগ দিয়েছেন। তার আগে ফিকি ও চেম্বারের আমন্ত্রণে তাদের স্পেশাল মিটিংয়েও ঘুরে এসেছেন। উদ্বুব্ধ করেছেন। দ্বিতীয় দিনে মউ স্বাক্ষর-সহ দিনভর আলোচনা ও একাধিক বৈঠক চলার সময়ও নজর রাখা। পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করা। নিউটাউনের বিশাল বিশ্ববাংলা কনভেনশনে সেন্টারের কোথায় কী হবে তার প্রতিটা খুঁটিনাটি নিয়ে টানা প্রস্তুতি বৈঠক সেরেছেন। জোন ধরে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় সকলকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের জন্য কোথায় কী ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে সেটুকুও নিজের নখদর্পণে রেখেছেন। এত সবের মাঝেও বাংলার সৃষ্টি ও কৃষ্টি যাতে সমাদৃত হয়, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নজর কাড়ে, সে-কারণে কার্যত সেসবের প্রদর্শনী রেখেছেন কনভেনশন সেন্টারে। নিজেও সময় করে ঘুরে দেখেছেন পুরোটা। বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকলে গৃহকর্ত্রী যেভাবে সকলকে আপ্যায়ন করেন, সম্মানে-ভালবাসায় ভরিয়ে রাখেন, ঠিক সেভাবেই বাংলার কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য, বাংলার লক্ষ্মীলাভ। আর তাতে তিনি দারুণভাবে সফল। যেভাবে সফল তাঁর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।
আরও পড়ুন- লগ্নির গন্তব্য এখন পশ্চিমবঙ্গ