‘নিজেদের মধ্যে আরও লড়াই কর’, দিল্লিতে ভোটের ফলের প্রাথমিক ট্রেন্ডে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার। দিল্লিতে আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেসের যে অন্তর্বিবাদ প্রকাশ পেয়েছে তা আরও একবার জানিয়েছেন ওমর। নিজেদের মধ্যে আরও লড়াই করার কথা এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন তিনি। ন্যাশনাল কনফারেন্সও সর্বভারতীয় জোট ‘ইডিয়া’র একটি অংশ। এক্স পোস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, যে দিল্লি নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য বজায় রাখা উচিত ছিল। নিজেদের মধ্যে লড়াই করে আসলে কোনও লাভই হয় না। এদিকে নিজের কেন্দ্র নয়া দিল্লি থেকে পরাজিত হয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে, আপ সুপ্রিমো (Arvind Kejriwal)।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) জানিয়েছেন,”আমরা অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জনগণের আদেশ গ্রহণ করেছি। বিজেপিকে অভিনন্দন, আশা করছি তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন করবে। আমরা গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অনেক কাজ করেছি। আমরা শুধুমাত্র বিরোধীদের ভূমিকা পালন করব না, জনগণের মধ্যে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করব…”
অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “আমি মনে করি, এটা স্পষ্ট ছিল যে দিল্লিবাসী পরিবর্তন চেয়েছিল। পরিস্থিতি যা ছিল তাতে তারা বিরক্ত ছিল। আমি মনে করি তারা পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। যারা জয়ী হয়েছেন তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই এবং বাকি যারা হারলেন তাঁদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্য থেকে অস্ত্র পাচারের ছক বানচাল পুলিশের, কলকাতায় আটক ৩
শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, “যদি কংগ্রেস এবং আপ একসঙ্গে থাকত, তাহলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। আপ এবং কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হল বিজেপি। এই দুই দলই বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার জন্য লড়াই করেছিল, কিন্তু তারা স্বতন্ত্রভাবে লড়াই করেছিল। যদি তারা একসঙ্গে থাকত তবে প্রথম ঘন্টায় গণনার বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যেত।”
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ২০২৬। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০+ চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি কোথায় কী হল, আমাদের বিষয় নয়। দিল্লির বিষয় দিল্লিতে। এখানে কোনো মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই।”
দিল্লিতে জনাদেশ স্পষ্ট। রাজধানীর রঙ গেরুয়া। বিজেপির থেকে বেশ কিছুটা দূরে আপ, এদিকে খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস। এই মুহূর্তে দিল্লিতে ৭০টি সিটে আপ এগিয়ে ২২টিতে এবং বিজেপি এগিয়ে ৪৮টিতে।