প্রতিবেদন : অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের (Bangladesh Supreme Court) নিরাপত্তায় নামানো হল সেনা। শনিবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের (Bangladesh Supreme Court) মূল প্রবেশপথ এবং অন্যান্য গেটে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। রয়েছে বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশও। লাগোয়া প্রতিটি রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইক থামিয়ে চলছে জোরদার তল্লাশি। এককথায় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টকে ঘিরে রেখেছে সশস্ত্র নিরাপত্তাবাহিনী। গোপনসূত্রে সেনার কাছে খবর আসে, শীর্ষ আদালত চত্বরের ম্যুরাল ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে। এরপরেই আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি তারা। তাছাড়া একদিন আগেই যেভাবে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং প্রাক্তন সেনাপ্রধানের বাড়িতে, তাতে সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে। সেই কারণেই অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে সেনা এবং আধাসেনা।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট, বিচার যে লক্ষ্য নয় প্রমাণিত, আরএসএস প্রধানের কাছে মৃত পড়ুয়ার বাবা-মা
এদিকে দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে পাল্টা প্রতিরোধে নেমে পড়েছেন আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার রাতে শিল্পশহর গাজিপুরে আওয়ামি লিগের নেতা প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে ছাত্রজনতার ভেকধারী কিছু মানুষ হামলা চালালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। পালাবার পথ পায়নি হামলাকারীরা। জখম হয় অন্তত ২০ জন। তার মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিশ আলমের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। আওয়ামি লিগের প্রতিরোধ ভাঙতে ইউনুস প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করেছে যৌথবাহিনী।