বইমেলা কথকতা ২০২৫

৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার (Kolkata Bookfair) আজ শেষদিন। শুধুমাত্র লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক, পাঠকরাই নন, মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আরও অনেক মানুষ। বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন মানুষেরও নিবিড় যোগ রয়েছে মেলার সঙ্গে। প্রতিদিন রচিত হচ্ছে নানা মুহূর্ত। জ্বলে উঠছে আলো। বয়ে যাচ্ছে হাওয়া। কেউ আসছেন প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে, কেউ ফিরে পাচ্ছেন হারানো সম্পর্ক। এ যেন এক মহামিলন ক্ষেত্র। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে লিখলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

সময়ের থেকে এগিয়ে
তোমার গান কিন্তু সাহিত্যই— অঞ্জন দত্তকে বলেছিলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। একটি কাজের সূত্রে কিছুদিন উত্তরবঙ্গে একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল গভীর বন্ধুত্ব। সমরেশের কাহিনি নিয়ে ছবি করতে চেয়েছিলেন অঞ্জন। কিন্তু নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। তারমধ্যে হঠাৎ একদিন চলে গেলেন সমরেশ মজুমদার। বৃত্ত অসম্পূর্ণ রেখে। সেটা যেন এতদিনে সম্পূর্ণ হল। যদিও একটু অন্যরকমভাবে। অভিনয়, গান গাওয়ার পাশাপাশি লেখালিখিও করেন অঞ্জন। বেরিয়েছে বই। সাহিত্যচর্চার জন্য এবারের কলকাতা বইমেলায় সমরেশ মজুমদার নামাঙ্কিত স্মৃতি সম্মাননা দেওয়া হল তাঁকে। ৬ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা বইমেলার এসবিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সাহিত্য উৎসবে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন উৎসবের উদ্বোধক সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে প্রমুখ। আবেগে ভেসে গেলেন অঞ্জন। নিজেকে প্রকাশ করার জন্য কথার বদলে বেছে নিলেন সুর। পরপর তিনটি গান শোনালেন। সেই বুড়ো পুরনো গিটার বাজিয়ে। শেষে গাইলেন বেলা বোস। ২০২৫-এর সন্ধ্যায় ভরা অডিটোরিয়ামে যেন হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল নয়ের দশকের ফুরফুরে হাওয়া। মাঝবয়সী নাইন্টিজ বেবিরা তো বটেই, এই প্রজন্মের স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারাও গলা মেলালেন গায়কের সঙ্গে। অঞ্জন দত্ত, সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা একজন মানুষ। বইমেলায় আরও একবার প্রমাণিত।
পায়ের ধুলো
উত্তর কলকাতার বাসিন্দা মঞ্জু বিশ্বাস। কলকাতা বইমেলার সঙ্গে তাঁর বহু পুরনো সম্পর্ক। আগে যেতেন ময়দানে, এখন করুণাময়ী বইমেলা প্রাঙ্গণে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাঁর। একটি পা নেই। ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটেন। এসেছেন মেয়ে এবং নাতনির সঙ্গে। কিনেছেন আশাপূর্ণা দেবীর বই। মেয়ে এবং নাতনিও পড়তে ভালবাসেন। তাঁরাও কিনেছেন কয়েকটি বই। মঞ্জুদেবী জানালেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। না এসে থাকতে পারি না। সমস্যা আছে। তবে সেটা দূরে সরিয়ে মনের জোরে প্রতি বছর আসি। কিছু না কিছু কিনি। কথা শেষে হাসি ছড়িয়ে পা বাড়ালেন স্টলের দিকে। ওঁর একটি পায়ের ধুলো মিশে গেল মেলার মাঠে। ওই ধুলো যে বড় পবিত্র। এঁদের মতো বইপ্রেমী আছেন বলেই তো বইমেলা আছে।
বহুরূপীর মেলা
দুই ম্যাসকট হাসো-হাসি তো আছেই, তাদের পাশাপাশি এবারের কলকাতা বইমেলায় বসেছে বহুরূপীর মেলা। ছোট বড় সবাইকে আনন্দ দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। কারণ মানুষ এখন হাসতে ভুলে গেছে। হাসি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী তারা। বাঘ, ভল্লুক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে কয়েকজন। ছোটরা ছবি তুলছে তাদের সঙ্গে। একজন বহুরূপী দিচ্ছে সচেতনতার বার্তা। কী বার্তা? বাল্যবিবাহ বন্ধ করুন, শিশু নির্যাতন বন্ধ করুন, গাছ লাগান-পৃথিবী বাঁচান, মোবাইল থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন। এই বহুরূপীরা বাংলার ঐতিহ্য। বইমেলার অঙ্গ।
রমরমিয়ে দোকান চলে
মেলার ৯ নম্বর গেট। নামকরণ কাজী নজরুল ইসলাম এবং জীবনানন্দ দাশের নামে। এবার দুই কবির জন্মের ১২৫ বছর। গেট দিয়ে বেরিয়ে ডানদিকেই একটি ছোট্ট চায়ের দোকান। মূলত মা চালান। সঙ্গ দেয় ছেলে। কাঁকুড়গাছিতে বাড়ি। সারাবছর দোকানে তেমন ভিড় থাকে না। তবে বইমেলার সময় দারুণ ব্যস্ততা। সামাল দেওয়া মুশকিল হয়। ছেলেটির অন্য নাম আছে। এই লেখায় সে রঘু, রঘু মাইতি। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে কথা বললাম ওর সঙ্গে। জানতে চাইলাম, দোকানের ভিড় সামলাতেই তো সময় চলে যায়। মেলার ভেতরে যাওয়ার সুযোগ হয় কি? প্রশ্ন শুনে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল ছেলেটি। তারপর বলল, মেলার ভেতরে যাইনি কোনওদিন। মেলায় বই বিক্রির কথা শুনে কিছুটা যেন অবাক হল সে। স্কুলের বইয়ের বাইরে অন্য কোনও বই ছুঁয়ে দেখেনি। তবে বইমেলা এলে তাদের মুখে হাসি ফোটে। রমরমিয়ে দোকান চলে যে!

আরও পড়ুন-চল্লিশেও রোনাল্ডো গোল মেশিন

বছর কুড়ি পর
প্রিয় বান্ধবী। দু’জনেই দক্ষিণ কলকাতা। এক স্কুল। এক ক্লাস। কলেজও। একজন কলেজ পাসের পরপরই বিয়ে। বরের সঙ্গে ডানা মেলে আমেরিকা। অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর সরকারি চাকরি। বিয়ে। অধ্যাপক বরের সঙ্গে সুখের সংসার। প্রথমজনের বিয়েতে দ্বিতীয়জন হাজির। দ্বিতীয়জনের বিয়েতে পাওয়া যায়নি প্রথমজনকে। সম্ভব হয়নি আমেরিকা থেকে উড়ে আসা। ধীরে ধীরে কমে আসে যোগাযোগ। দু’জনেই সংসারের ডুব। সন্তান-সন্ততি। আমেরিকা থেকে প্রথমজন এবার কলকাতা বইমেলায়। বহু বছর পর। খবর ছিল না। তা সত্ত্বেও ওইদিনই দ্বিতীয়জন হাজির। পায়ে পায়ে। মেলার মাঠে। ছেলের সঙ্গে। গিল্ড হাউসের সামনে হঠাৎ দেখা দুই বান্ধবীর। বছর কুড়ি পর। চুলে রুপোলি রেখা। চোখে চশমা। মুখে বয়সের আলতো ছাপ। তবু পরস্পরকে চিনে নিতে অসুবিধা হয়নি। দু’জনেই সমরেশ বসুর ভক্ত। আজও। পছন্দের লেখকের জন্মশতবর্ষে পুনর্মিলন ঘটে গেল। সৌজন্য কলকাতা বইমেলা।
স্টলের অঙ্গসজ্জা
দে’জ পাবলিশিং উদযাপন করছে প্রকাশনার পঞ্চাশ বছর। বিষয়টি স্মরণীয় করে রাখতে সাজানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানের স্টলটি। গত পঞ্চাশ বছরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে প্রকাশন সংস্থার বহু খবর। কিছু খবরের কাটিং নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ প্রদর্শনী ‘পাঁচ দশকের যত কথা’। দেখছেন অনেকেই। জাগোবাংলা স্টলটি প্রতিবছর চমক দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সুসজ্জিত স্টলটি ঘুরে দেখছেন বহু মানুষ। কিনছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই। মিত্র ও ঘোষ, পত্রভারতী, আনন্দ পাবলিশার্স, দেবসাহিত্য কুটীর, যাপনচিত্র, আনন্দ প্রকাশন, বিজল্পের স্টলগুলোও দর্শকদের মন কেড়েছে। আজকালের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন বহু মানুষ। অনুভূতি প্রকাশন সংস্থার ছোট্ট স্টলটিও নজর কেড়েছে। ১২৫তম জন্মবর্ষে স্মরণ করা হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশের প্রতি। এছাড়াও জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করা হয়েছে কয়েকজন স্রষ্টাকে। পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের স্টলের থিম সবুজের পাঠশালা। এখানে প্রতিদিন আয়োজিত হচ্ছে ছোটদের অনুষ্ঠান, কর্মশালা।
ছুটির সময়
সুরঞ্জন ভুক্তা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার ছেলে। এখন কলকাতায় থাকে। বাগুইআটির কাছে। বন্ধুদের নিয়ে চুটিয়ে করে ডিটিপির কাজ। মনোযোগ দিয়ে সাজিয়ে তোলে বইয়ের পাতা। বইমেলার অপেক্ষায় দিন গোনে। কেন? সুরঞ্জন জানাল, সারাবছর প্রবল ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। বইমেলার মুখে দম ফেলার সময় পাওয়া যায় না। এত চাপ। বিভিন্ন প্রকাশন সংস্থার কাজ আসে। সময়মতো দিতে হয়। ফলে নাওয়া-খাওয়ার সময় পাই না। তবে বইমেলার সময় আমাদের লম্বা ছুটি। থাকে না কাজের চাপ। এইসময় টানা কয়েকদিন দেশের বাড়িতে সময় কাটাই। পরিবারের সঙ্গে। দিনগুলোর অপেক্ষায় থাকি সারাবছর। এত লম্বা ছুটি অন্য কোনও সময় পাওয়া যায় না যে। এইভাবেই কলকাতা বইমেলা তার কাছে হয়ে ওঠে ছুটির সময়।
অন্তরায় হতে পারেনি
জার্মান দার্শনিক, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়দের নাম এবং কাজের সঙ্গে অনেকেরই পরিচিত। তবে ভাষার সঙ্গে পরিচয় নেই বেশিরভাগ মানুষের। তা সত্ত্বেও এবারের মেলার থিম প্যাভেলিয়নে উপচে পড়ছে ভিড়। জার্মানির স্টলটি সাজানো হয়েছে সুন্দরভাবে। ঘুরে দেখছেন বইপ্রেমীরা। ছুঁয়ে দেখছেন বই। ইংরেজি অনুবাদের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে হাতে হাতে। কলকাতা বইমেলার ইতিহাসে প্রথমবার। দেশটিকে ঘিরে পাঠকের উৎসাহ, উন্মাদনা স্বাভাবিক ঘটনা। না, ভাষা অন্তরায় হতে পারেনি। মেলা জুড়ে জনসমুদ্র। পাঠক কিন্তু ভালই আছে। কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। খুদে পাঠকের ভরসা মা-বাবা। এই মেলা আট থেকে আশি সবার। এই মেলা যেন এক মহামিলন ক্ষেত্র।

আরও পড়ুন-কাজে যোগ দিলেন সেই ৪ পরিচালকও

মেলার বন্ধু
মেলা শুরুর আগে কয়েকজন মণ্ডপ নির্মাণ শিল্পীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, মেলার সময় মাঠে আসেন? বই দেখেন? কাজের ব্যস্ততা, তার মধ্যেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, আসি। মূলত কাজেই। মেলা ঘুরে দেখি। বই পড়ার অভ্যাস আমাদের নেই। তবে বাড়ির ছোটদের জন্য আঁকার বই কিনি, ছড়ার বই কিনি। মেলাকে পরিচ্ছন্ন রাখার পিছনে বড় অবদান রয়েছে সাফাই কর্মীদের। প্রতিদিন তাঁরা আসেন। মেলাকে আবর্জনা মুক্ত রাখেন। বই দেখার সুযোগ হয় কি? তাঁদের একজন জানালেন, মেলায় আসি নিজেদের কাজে। তাই বই দেখার সময় পাই না। আমাদের কাজ মেলাকে পরিষ্কার রাখা। সেটাই করি। কথা শেষ হতেই তাঁরা ডুবে গেলেন নিজেদের কাজে। বই পড়েন না এঁরা। তাও এঁদের ছাড়া বইমেলার কথা ভাবাই যায় না। এঁরাও কিন্তু মেলার বন্ধু।
প্রথম সেলফি
প্রবীণ দম্পতি। বইমেলায় ঘোরাঘুরি। কেনাকাটা। ব্যাগভর্তি শীর্ষেন্দু, সঞ্জীব, প্রচেত, জয়ন্ত। সঙ্গে একটু খাওয়া-দাওয়া। আসেন প্রতিবছর। মেট্রো যাতায়াত আগের তুলনায় অনেক সহজ করে দিয়েছে। এবার তাঁদের সঙ্গী হয়েছে স্মার্টফোন। মেয়ের নতুন চাকরি। তার দেওয়া উপহার। হাতে এসেছে কয়েক মাস আগে। সড়গড় হতে আরও কিছুটা সময়। হঠাৎ ভদ্রলোকের ইচ্ছে, মেলার মাঠে একটা ছবি তুলবেন। নিজেদের। স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। মেলার মাঠে সবাই অচেনা। কাউকে ফোনটা দিয়ে ছবি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করতেও দ্বিধা। ফলে ভরসা সেলফি। অনভ্যস্ত হাতে চেষ্টা। শেষমেশ সফল। বন্দি হল একটি সুন্দর মুহূর্ত। পাশাপাশি দু’জন। তাঁরা। চোখেমুখে প্রশান্তি। সাক্ষী বইমেলা।

আরও পড়ুন-আজ ভোটগণনা দিল্লিতে, বিধায়ক কেনার ছক বিজেপির

শেষ দিনে কম দামে
৮ নম্বর গেটের সামনে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে কথা হল। গেট দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে বহু মানুষ ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন। সজাগ দৃষ্টি তাঁর। কোনও সময় যেন ছন্দপতন না ঘটে। সময় সুযোগ বুঝে জানতে চাইলাম তাঁর কাছে, বইমেলায় ডিউটি, মেলায় ঘুরে বই দেখার সুযোগ হয়? বাড়ির ছোটদের জন্য বই কিনে নিয়ে যান মেলা থেকে? তাঁর বাড়ি মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। বললেন, আমার ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। বহুদিন পর পর দেখা হয় তার সঙ্গে। বই চায় না, সে চায় বাবা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসুক। তাই বই কিনি না। তাছাড়া মেলায় ঘোরার সুযোগ সেইভাবে পাওয়া যায় না। ভিড় সামলাতে সামলাতেই সময় গলে যায়। ৮ নম্বর গেটের বাইরে আইসক্রিম বিক্রি করেন একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ। জানালেন, মেলার সময় দারুণ বিক্রি। শীত পড়তির দিকে। আইসক্রিমের কদর বাড়ছে। মেলার ভেতরে যাওয়ার সময় হয় না। কথা হল এক তেলেভাজা বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি জানালেন, সারা বছর ঘুগনি, মুড়ি, চা, বিস্কুট বিক্রি করি। বইমেলায় তেলেভাজার দোকান দিই। দারুণ বিক্রি। মেলায় যাই শেষদিন। কম দামে কিছু বই কিনি। কথা শুনে মনের মধ্যে বাতাস বয়ে গেল। বইমেলা কিন্তু এঁদেরও।

Latest article